করোনা পরবর্তী সময়ে মধ্যবিত্ত সমাজের আয় অনেকাংশে কমেছে। অনেকেই হারিয়েছিলেন চাকরি, বা কারও কমেছিল বেতন। যার ধাক্কা এখনও অনেকে কাটিয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু পরিবারে আচমকা কোনও বিপত্তি বা অসুস্থতা বা অন্য কোনও আর্থিক সমস্যায় যদি ঋণ নিতে হয় তবে আরও বড় বিপদে পড়তে হয়। কারণ সবসময় চাইলেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া যায় না। এর জন্য মানতে কড়া শর্ত, আবার গুনতে হয় চড়া সুদ। অনেক ক্ষেত্রে আবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় গ্রাহকের কম সিবিল স্কোর। তবে জেনে নিন এ সব ক্ষেত্রে খামতি থাকলেও গ্রাহকরা কম সুদে সহজেই ঋণ পেতে পারেন।
জানিয়ে রাখি, যদি আপনার একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকে তবে সহজেই পেয়ে যাবেন ঋণ।
এর জন্য আপনাকে কোনও ব্যাঙ্কে দৌঁড়াতে হবে না, প্রয়োজন নেই ভালো সিবিল স্কোরের। অর্থাৎ ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণ নিতে একটি ফর্ম ফিলাপ করে আবেদন করলেই কেল্লাফতে, সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। এবার আসি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে হলে প্রয়োজন এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। অর্থাৎ, যারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন তাঁদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট অবশ্যই আছে। ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার বাজার, ইটিএফ, সিকিউরিটিজ, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়। সেবি জানাচ্ছে, বর্তমানে ভারতে প্রায় ১১ কোটি গ্রাহকের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট আছে। এই অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা শেয়ারের বিনিময়ে সহজেই পেয়ে যাবেন ঋণ।
তবে এর জন্য শেয়ার বিক্রি করতে হবে না। ব্যাঙ্কগুলি তখন সেই শেয়ার বন্ধক হিসেবে রেখে দেবে। ফলে যারা শেয়ার বাজারে বেশি অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছেন তাঁরা ডিম্যাট অ্যাকাউন্টটি অন্য যে কোনও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করে ঋণের আবেদন করলেই হবে। সহজেই ঋণের টাকা আপনার ব্যাঙ্কে চলে আসবে। পরবর্তী সময় ওই শেয়ারের লভ্যাংশ, বোনাসের টাকা ঢুকলে বা শেয়ারগুলির দাম বেড়ে গেলে ঋণ পরিশোধ করা সহজ হয়ে যাবে।
Discussion about this post