রথযাত্রার দিন গোটা দেশ দেখল এই আশ্চর্য ঘটনা। গুনে গুনে ৫৩ বছর পর এই ঘটনা দেখলেন ভক্তরা। পুরীর রথ এবার মাঝপথেই থেমে গিয়েছিল। ফের রথের চাকা গড়াল পরদিন। অর্থাৎ জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবার দুদিনে পৌঁছলেন মাসির বাড়ি। প্রতি বছর রথযাত্রার দিন পুরীর মন্দির থেকে বেরিয়ে রথে চাপেন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় সেখানে। রথের রশিতে টান দিয়ে তিন ভাইবোনকে মাসির বাড়ি বা গুণ্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যান ভক্তরা। রথযাত্রার দিন বিকেলের মধ্যেই তিনটি রথ গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছে যায় প্রতি বছর। কিন্তু এবার তা হল না। রবিবার গুন্ডিচা মন্দিরে যাওয়ার মাঝপথেই রথ গিয়েছিল। বাকি পথ সোমবার পারি দিয়েছে গুণ্ডিচ মন্দির পর্যন্ত। অর্থাৎ এইবার পুরীর রথযাত্রা হল দু দিনে। যা ঘটল পাক্কা ৫৩ বছর পরয কিন্তু এমন ঘটনা কেন ঘটলো?
তিথি অনুযায়ী, এইবার রথযাত্রা পড়েছে দুইদিন। তাই দুইদিনে গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছবে পুরীর রথ। এবারের রথযাত্রার তিথি দুইদিন অর্থাৎ ৭ ও ৮ জুলাই পড়েছে। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রবিবার ভোর ৩টে ৪৪ মিনিট থেকে ৮ জুলাই ভোর ৪টে ১৪ মিনিট পর্যন্ত যোগ রয়েছে। ফলে দুইদিনের রথযাত্রায় দুইদিনে মাসির বাড়ি পৌঁছবেন প্রভু জগন্নাথ। যা ৫৩ বছর পর ঘটলো। গ্রহ-নক্ষত্রের হিসাব অনুযায়ী এ বছর বিরল যোগ ঘটেছে বলেই জানিয়েছে পুরীর রথযাত্রা কমিটি।
উল্লেখ্য শেষবার দু’দিনের যাত্রা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। এবারের রথযাত্রা অনেকগুলি দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এবার পুরীর রথযাত্রার দিন সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ তৈরি হয়েছে। যা অত্যন্ত শুভ। পাশাপাশি জগন্নাথের নবযৌবন বেশ এবং নেত্র উৎসব একই সঙ্গে হবে এ বছর। তবে নবযৌবন বেশ উৎসব দেখতে পাবেন না ভক্তরা। তাতে কি, এ বছর দুদিন ধরে রথযাত্রা উৎসব চলায় ভক্তদের উৎসাহও রয়েছে দ্বিগুন। কারণ দুদিন ধরে জগন্নাথের রথের রশি টানতে পারবেন তাঁরা। এ বছরও লক্ষ লক্ষ ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন পুরীতে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও এবার পুরীর রথযাত্রা উৎসবে সামিল হয়েছেন।
Discussion about this post