হোয়াইট হাউসে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তিনিই আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। সেই ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে তিনি হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেছিলেন। এবার তিনি প্রত্যাবর্তনের পথে। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই প্রত্যাবর্তনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পুরোনো বক্তৃতার বিভিন্ন ক্লিপ নতুন করে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। যা নিয়ে রীতিমতো রঙ্গ-তামাসা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেন ঠাট্টা-তামাসা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়? কারণ নেট নাগরিকরা পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটতে পছন্দ করে। বাঙালিও তাঁকে ভোলেননি, তাঁর মুখে স্বামী বিবেকানন্দের নামোচ্চরণ শুনে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন মূলুকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিপুল জনসম্বর্ধনা দিয়েছিল আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়রা। যার নাম ছিল ‘হাউডি মোদি’। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। এরই পাল্টা হিসেবে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ আয়োজন করে ভারত। উপস্থিত ছিলেন, লাখের কাছাকাছি দর্শক। আর সেখানে মোদির সামনেই আবেগতাড়িত ট্রাম্প দিয়েছিলেন এক সুন্দর বক্তৃতা। আর জিভ বিভ্রাট বা জিভ জড়িয়ে যাওয়ার জেরে ল্যাজে-গোবরে হন একের পর এক হিন্দি উচ্চারণের সময়। তাঁর মুখে নমস্তে, আহমেদাবাদ, চা ওয়ালা, বিবেকানন্দ বা শচীন তেন্ডুলকর উচ্চারণ তুমুল জনপ্রিয়তা পায় সেবার। অনেকেই হেসে গড়াগড়ি গিয়েছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে সেই সব আজব উচ্চারণ শুনে।
যেমন, স্বামী বিবেকানন্দের নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সোয়ামী বিবেকামুন্নন’। আবার ইংরেজিতে চতুর্বেদকে ‘বেদাজ়’ বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন ‘ভেস্টাস’। ক্রিকেট তারকা শচীন এবং বিরাটের নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন ‘সুচ্চিন তেন্ডুলকর’ ও ‘বিরাট কুহলি’। নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি টেনে আনেন তাঁর প্রথম জীবনে চা বিক্রির প্রসঙ্গ। ট্রাম্প বলতে চেয়েছিলেন, একজন চা-ওয়ালা থেকে এত বড় দেশের নেতা হওয়া বিরাট কৃতিত্ব। কিন্তু চা-ওয়ালা শব্দটি তিনি উচ্চারণ করে বসেন, ‘চি-ওয়াল্লা’। এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় কালজয়ী সিনেমা শোলে-র নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে তিনি বলে বসেন, ‘সোজে’। যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে চর্চায় তাঁর অদ্ভুত উচ্চারণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবেকামুন্নন, চি-ওয়াল্লা বা সুচ্চিন তেন্ডুলকারের টুকরো টুকরো ক্লিপ ভেসে বেরাচ্ছে। আর সেগুলি শুনে বাসে, ট্রেনে হাসির রোল তুলছেন আম বাঙালি।
Discussion about this post