আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। কিন্তু সাড়ে সাতটার পরেই উধাও মেঘের ঘনঘটা। কালো মেঘ উড়িয়ে নিয়ে গেল হাওয়া । সন্ধ্যা সাতটার সময় গ্যালারি পরিপূর্ণ ছিল না। কেউ আশা করেনি ৮:৩০ এর মধ্যে ছবিটা সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে। কলকাতা যে ক্রীড়াপ্রেমীদের শহর তা বারবার প্রমাণ করে দিচ্ছে। আই এস এল এর শুধুমাত্র মোহনবাগানের দর্শক রাই ভরিয়ে তুলেছিলেন যুবভারতী। আইপিএলে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচেও দেখা গেল দর্শক ভর্তি ইডেন । ইডেনের মাঠকর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা আগেও করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সুনীল গাভাস্কার বলেছিলেন, বৃষ্টির সময় ইডেনটি যেমন ঢেকে দেয়া হয় বাকি মাঠগুলোও একইভাবে ঢাকা উচিত ।শনিবার টানা বৃষ্টি হলেও ১৬ ওভারের ম্যাচ দেখলেন উপস্থিত দর্শকরা ।
ধারাভাষ্য দিতে যাওয়ার সময় ম্যাথু হেডেন তার সহকারীকে বলছিলেন, কি অসাধারণ ভিড় ।বৃষ্টির মধ্যে ক্রিকেট খেলা দেখার উন্মাদনা খুব কম মাঠেই দেখা যায়। বেশিরভাগ মাঠে বৃষ্টির পরে দ্রুত ম্যাচ শুরু করা যায় না। কিন্তু ইডেন ব্যতিক্রম, দর্শকরা জানেন বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই এখানে ম্যাচ শুরু করে দেওয়া যাবে। ইডেনের মাঠ ভরা দর্শক দেখে বিস্মৃত গ্রেম শোয়ান বলেছিলেন, এটাই দেখতে চেয়েছিলাম। বৃষ্টিও ইডেনের উন্মাদনা কমাতে পারল না। কলকাতা কখনো হতাশ করেনি ।আগে যখন ক্রিকেটার হিসেবে এসেছি দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। আজও দেখলাম বৃষ্টির মধ্যে কিভাবে সকলে অপেক্ষা করছে ম্যাচদেখার জন্য। চলতি মরশুমে নাইটদের শেষ ম্যাচ দেখতে প্রথম ইডেনে আসেন অন্যতম কর্ণধার জুহি চাওলা ।কিন্তু শাহরুখ খানকে দেখতে না পেয়ে অনেকেই হতাশ। মুম্বাই দলের সমর্থক যে কম হবে না তা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছিল শুক্রবার থেকেই ।
ইডেন রোহিত শর্মার প্রিয় মাঠ। এখানে একদিনের সর্বোচ্চ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ২৬৪ রান করেছিলেন ।টেস্টে প্রথম শত রান করেন এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। আইপিএলে কেকেআরএর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ছিল শত রান। ইডেনের স্লোগান ওঠে মুম্বাই কৌন? বাকিরা বলে ওঠেন রোহিত শর্মা ,রোহিত শর্মা। মুম্বাই ডাগ আউট এর পিছনে ‘এল’ ব্লক থেকে উঠেছিল স্লোগান। ডাগআউট থেকে বেরিয়ে রোহিত তাদের দিকে হাত নাড়েন। বুঝিয়ে দেন দর্শকদের ভাবনার সঙ্গে তার কোন দ্বিমত নেই।
Discussion about this post