ক্রিকেটের মাঠে কিছু বিষয় থাকে যা কোন খেলোয়াড়ের হাতে থাকে না বা তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। কিন্তু অধিনায়কদের এর জন্য দোষারোপ করা হয়। যদিও সবাই জানেন এটা ভাগ্যের ব্যাপার তবু অধিনায়ককে অনেক সময় এর জন্য বিব্রতকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এই মহূর্তে কলকাতা প্লে-অফের দিকে অনেকটাই এগিয়ে, মাত্র এক ম্যাচ জেতার ব্যাপার। জয়ের হ্যাটট্রিকও করেছে তারা। প্রথমে দিল্লি ক্যাপিটালস, তারপর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে কেকেআর। এর পরেও চাপে দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। সতীর্থদের বিভিন্ন প্রশ্নবানে জর্জরিত তিনি।
আসলে সতীর্থেরা শ্রেয়সকে প্রশ্ন করছেন টস নিয়ে। এই আইপিএল প্রতিযোগিতায় লখনউ ম্যাচ ধরলে টানা ছ’টি ম্যাচে টস করতে গিয়ে হেরেছেন শ্রেয়স। তার ফলে দলের ইচ্ছাতে ব্যাট বা বল নেওয়র অধিকার থাকছে না কিন্তু কোনও কোনও ম্যাচে টস খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই জন্যই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে শ্রেয়সকে।
লখনউকে হারানোর পর কেকেআর অধিনায়ক বলেন, “গত ছ’ম্যাচ ধরে সাজঘরে টিকতে পারছি না। সতীর্থেরা আসছে আর জিজ্ঞাসা করছে, কী হচ্ছে? কেন আমরা পর পর টস হারছি? আমি ওদেরকে অন্তত বলতে পারছি, যে ম্যাচ জিতছি। তাই টস হারলেও কোনও সমস্যা নেই।
আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম বার লখনউয়ের মাঠে দু-শোর বেশি রান করেছে কোনও দল। ব্যাটিং নিয়ে শ্রেয়স বলেন, “আমরা আগে থেকে কিছু ভাবি না। যদি পাওয়ার প্লে-তে শুরু ভাল হয় তখন ঠিক করি কত রান করা উচিত। এই ম্যাচে ব্যাট করতে নামার সময় নারাইন আমাকে বলে, ২০০-র কাছাকাছি রান করতে পারলেই হবে। শেষ দিকে সবাই ভাল ব্যাট করেছে। তাই ২৩৫ করতে পেরেছি।”
চলতি মরসুমে দারুন ফর্মে রয়েছে কেকেআরের ব্যাটিং লাইন। শ্রেয়সের মতে, ব্যাটারেরা স্বাধীন ভাবে খেলতে পারছে বলেই এটা হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে নারাইন ও ফিল সল্টের নাম উল্লেখ করেছেন। শ্রেয়স বলেন, “আমাদের দলে সবাইকে স্বাধীনতা দেওয়া আছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী যে কোনও ব্যাটারকে নামাতে পারি। সবাই নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলে। সবসময় সময় অবশ্য তা কাজে লাগে না। তবে এ বার বেশির ভাগ ম্যাচেই তার ভালো ফল পাচ্ছি। নারাইন ও সল্ট দুর্দান্ত খেলছে”।
Discussion about this post