লক্ষ্মীবারের রাতে ভারতীয় ফুটবলের সত্যিই লক্ষ্মীলাভ হতে পারে যদি ভারত প্রিয় ওয়ার্ল্ড কাপের তৃতীয় রাউন্ডে ওঠে। চুনি- পিকে, সুভাষ-সুধীর, কিম্বা – বাইচুং, বিজয়ন জমনাতে ভারত কখনো তৃতীয় রাউন্ডে উঠেনি। ওঠার অর্থ হল ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলার হাতছানি । দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে মোট এশিয়ার ১৮ দেশ তিন গ্রুপে থাকবে ছটি করে টিম। পাঁচটা করে মোট ১০ টি হোম আওয়ে ম্যাচ গ্রুপের প্রথম দুটি করে টিম সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা ছাড়পত্র পাবে। গ্রুপের তৃতীয় টিমের কাছে আসবে চতুর্থ রাউন্ড খেলে বিশ্বকাপে ছাড়পত্র পাওয়ার সুযোগ। সেই লক্ষ্য পূরণেই মরিয়া।
কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচটা জেতার জন্য তার বিদায় মুহূর্তের আবেগটা, বাধা হয়ে উঠতে পারে ।বুঝেই সুনীল ব্যাপারটাকে হালকা করতে চাইলেন। মিডিয়ার উদ্দেশ্যে তার মন্তব্য, ইমোশনটা আপনাদেরই একটু বেশি বিশ্বাস করুন আমাদের টিমের অন্দরে এই ইমোশনটা নেই। আমি শিবিরে এসেই সতীর্থদের বলেছিলাম, “আমার অবসরটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। দেশকে তৃতীয় রাউন্ডে তোলো”। কুয়েত এক সময় বিশ্বকাপের খেলা দেশ হলেও এখন তাল পুকুরে ঘটি ডোবে না অবস্থায় । ফিফা ক্রম তালিকায় পিছিয়ে ১৩৯ তম স্থানে ।তার সঙ্গে এই ম্যাচে চোট ও কার্ড সমস্যা তাদের বেশ কয়েকজন তারকা নেই।
প্রথম পর্যায়ে ভারতের কাছে ঘরের মাঠে হেরেছে। যা সামলে ওঠা কঠিন। কুয়েতের পর্তুগিজ কোচ রুই বেন্তোর। সুনীল নিয়ে তার মন্তব্য, সুনীল তো এক্সট্রা অর্ডিনারি । যদিও বহু দেশের বিরুদ্ধে গোল থাকলে কুয়েতের জালে এখনো বল জড়ান নি সুনীল। তিনটে কারণে এই ম্যাচ এই ভারত ফেভারিট। এক, এই ম্যাচের আগে দীর্ঘ প্র্যাকটিসে সুযোগ পেয়েছে ভারত। তাই আত্মবিশ্বাসী স্টিমাচ বলেছেন, “আমরা পুরোপুরি তৈরি”। দুই, আবেগ থাকলেও তা কাটানোর জন্য টিমে মনোবিদ রয়েছে। যিনি টিমের ফোকাস তৈরি করেছেন। তিন, ৬২ হাজার দর্শকের গর্জন বাড়তি প্রেরণা হবে টিম ইন্ডিয়ার । সুনীল ছেত্রী, অধিনায়ক ,কিংবদন্তি এবং ভারতীয় ফুটবলের প্রধানমুখ।
বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে তার অবসরের মধ্যে দিয়ে শেষ হতে চলেছে একটা অধ্যায়ের ।হয়তো এই কারণেই আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছে সুনীলকেও । ভারতীয় দলের জার্সিতে শেষবারের মতো প্রাক ম্যাচ অনুশীলন করতে, যুবভারতী মাঠে নেমে হাতজোড় করে নমস্কার যখন করলেন। অনেকেই চোখের কোন ভিজে উঠেছিল। সুনীল যে শুধু চিরকালের জন্য ভারতীয় দলের জার্সিকে বিদায় জানাচ্ছেন না , গভীর সংকটে ফেলে যাচ্ছেন ভারতীয় ফুটবলকেও। বুধবারের পর থেকে মাঠে নামর আগে ড্রেসিং রুমে তাদের কে বলবে, “আমি তো আছি চিন্তা করোনা গোল হবেই। চলো শপথ নিয়ে ম্যাচটা জিতে মাঠ ছাড়বো। প্রাণ দিয়ে দেশের সম্মান রক্ষা করব”।
Discussion about this post