দীর্ঘদিন পর চেনা ছন্দে ইস্টবেঙ্গল। দেশের মাটিতে টানা ব্যর্থতার পর বিদেশের মাটিতে জ্বলল মশাল। ভূটানের থিম্পুতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচেও লালহলুদ বাহিনী হারিয়ে দিল শক্তিশালী নেজমেহ এফসি-কে। ম্যাচের ফলাফল ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ৩-২। জোড়া গোল করে নজর কাড়লেন দিয়ামানতাকোস।
চলতি আইএসএলে টানা ৬ ম্যাচ হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। যার জন্য কোচের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল কার্লোস কুয়াদ্রতকে। নতুন কোচ হিসেবে দলের সঙ্গে সদ্য যোগ দিয়েছেন অস্কার ব্রুজ়ো। তিনি আসার পরই ঘুরে দাঁড়ায় লাল-হলুদ বাহিনী। আর ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ হিসেবে তাঁদের সামনে এল এএফসি চ্যালেঞ্জ ট্রফি। গ্রুপ পর্যায়ের তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচে জয় এবং একটি ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। আগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে চার গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই এদিন ভূটানের থিম্পুতে নেজমেহ এফসি-র বিরুদ্ধে চনমনে মনোভাবেই শুরু করেছিলেন লাল-হলুদ বাহিনী। শুরু থেকেই আক্রমণে উঠতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৭ মিনিটেই প্রথম গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। সৌভিক চক্রবর্তীর কর্নার হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন নেজমেহ-র এক ডিফেন্ডার। ১৫ মিনিটেই গোলের ব্যবধান বাড়ালেন দিয়ামানতাকোস।
দুই গোলে এগিয়ে গেলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। পরপর দুটি গোল করে সমতা ফেরায় নেজমেহ এফসি। ম্যাচের ৪২ মিনিটে ডিরেক্ট ফ্রিকিক থেকে অসাধারণ গোল করেন হুসেন মনজার। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারছিল না। তবে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে লাল-হলুদের সামনে। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। দিয়ামানতাকোস বাঁ পায়ের জোড়াল শটে গোল করে জয়ের সরনীতে ফিরিয়ে আনে ইস্টবেঙ্গলকে। এই জয় শুধু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ নয়, অক্সিজেন জোগাবে আইএসএলের পরবর্তী ম্যাচগুলিতেও।
Discussion about this post