স্কুল কিড। ম্যাচের আগে তিন সম্পর্কে এই মন্তব্যগুলো ছিল একটা বড় স্ট্যাটাস এর অঙ্গ। স্টাট্রেজির আর কিছুই নয়, বুলিই ্ খেলা শুরু কয়েক সেকেন্ডের পর থেকেই সেরকমই দেখা গেল। স্পেনের স্বাভাবিক পাসিং ফুটবল যার ফলে ঘেঁটে গেল অনেকটাই। ধাক্কাধাক্কি ,পা চালানোটা একটু বাড়াবাড়ি রকমেরই শুরু করে দিয়েছিল জার্মানরা। স্পেনের অনবদ্য ফুটবল মুগ্ধ করল সবাইকে। পেদ্রির চোট পেয়ে আট মিনিট উঠে যাওয়া। আলবারো, মোরতা ,ল্যামিনে ইয়ামেল দের দিকে ধেয়ে আসা বেখাপ্পা কিছু ট্যাকল। এসব কিছু সামলে সেমিফাইনালের জন্য তৈরি হতে হবে স্পেন কে। জার্মানি যা চেয়েছিল সেটাই হলো অবশ্য ।এই ইউরোর আগের চার ম্যাচে স্পেন এত জোরালো ফিজিক্যাল ফুটবলের সামনে পরেনি ।কোয়াটার ফাইনালে অনেক কঠিন লড়াইয়ের সামনে পড়তে হবে।
শুরুতেই মার খেয়ে স্পেন অপেক্ষা করতে থাকলো সামনের ফাঁকা স্পেস একটু শ্বাস নেওয়ার সুযোগের। স্পেনের র বল পজিশন ছিল ৪৮ শতাংশ ।যা কয়েক বছর আগে ছিল অকল্পনীয়। প্রতিপক্ষের পায়ে বল ই দিত না স্পেন। কিন্তু লা ফুয়েন্তের স্পেন আগের চেয়ে আলাদা তাই কম বল পজিশনেও মানিয়ে নিল স্পেন। দ্বিতীয় অর্ধে চাপ বাড়াতে শুরু করল স্পেন। ডানদিকে বক্সের গোড়ায় ফাঁকা জায়গায় বল বাড়িয়ে ছিলেন ইয়ামাল। পেছন থেকে দৌড়ে এসে মাটি ঘেঁষা শটে গোল করেন ওলমো। ১৬ বছরের একটা ছেলের ইউরোয় তিনটে এসিস্ট। ইউরোৎ কোন টিন এজার এর ক্ষেত্রে যা রেকর্ড।
বিরতির পর থেকে যে বদলগুলো করেছিল জার্মানি তাতে আক্রমণের রাস্তাটা অনেকটাই প্রশস্ত হয়েছিল। ভোরের খুব কাছে দু-তিনবার পৌঁছানোর পরে ভির্ৎজের গোলে ১-১ করে জার্মানি। গ্যালারি মাতোয়ারা আর মাঠে চিরকালীন সেই জার্মান লড়াকুম মানসিকতা ক্রমাগত এট্যক এট্যাক আর অ্যাটাক করেই গোল। কিন্তু অতিরিক্ত সময় শেষ মুহূর্তে একটু ক্লান্ত দেখালো রুদিগারকে। মিকেল মেরিনোর সঙ্গে লাফালেন না। ওলমো বাঁ দিক থেকে আসা ক্রসে দুরন্ত হেডে ২-১ করলেন মেরিনো। ১১৯ মিনিট তখন। এরপরেও মিনিট পাঁচেক টাইম পেল জার্মানি। ফুলক্রুগের হেড অল্পের জন্য গোলে ঢুকলো না। জার্মানির বিদায় ও ক্রুসের অবসর নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই।
Discussion about this post