এক আইসিসির ট্রফি শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেল আর এক আইসিসি ট্রফির তোড়জোড়। আগামী বছর থেকে ফের শুরু হতে চলেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ।৮ বছর পর ফিরছে এই প্রতিযোগিতা ।মিনি বিশ্বকাপে বলা হয়ে থাকে icc চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে। ২০২৫ সালের প্রতিযোগিতার আয়োজক পাকিস্তান। সরকারিভাবে প্রকাশিত না হলেও পি সি বি সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই খসড়া সূচিত তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভারতের দলের জন্য সুখবর রয়েছে টিম ইন্ডিয়া খুব একটা কঠিন গ্রুপে পড়েনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মত কঠিন দলের বিরুদ্ধে ভারতকে খেলতে হবে না গ্রুপ পর্বে।
জানা গেছে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ‘ বি ‘, গ্রুপে রয়েছে ভারত ,পাকিস্তান ,বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। টেস্ট খেলা দেশগুলির মধ্যে শ্রীলংকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে এই প্রতিযোগিতার খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ভারতের গ্রুপে নিউজিল্যান্ড বাদ দিলে গ্রুপ পর্বে মূলত এশিয়া শক্তির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে রোহিত শর্মা বিরাট কোহলিদের ।প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি ,ফাইনাল খেলা হবে ৯ মার্চ ।ফাইনালের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে গ্রুপ পর্বে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা হয়েছে পহেলা মার্চ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে ভারত পাক মহারণ। পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান মহাসিন নাকভি জানিয়েছেন, সুরক্ষা জনিত কারণে ভারতের সব ম্যাচ গুলিরাখা হয়েছে লাহোরে।
তিনি আরো বলেছেন, সাতটি ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহরে।করাচিতে রাখা হয়েছে তিনটি ম্যাচ রাখা হয়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচ রাখা হয়েছে করাচিতে। একটি সেমিফাইনাল হবে করাচিতে। বরাওয়ালপিন্ডিতে অপর সেমিফাইনাল দেওয়া হয়েছে। লজ ফাইনাল দেয়া হয়েছে লাহোরকে। ভারত সব ম্যাচ লাহোরে খেলবে ।ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে তাহলেও সেই ম্যাচের লাহরে খেলা হবে। প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১৯ফেব্রুয়ারি থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে। চলবে আগামী ৯ই মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ সেদিন ফাইনাল হবে ।আর ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। ৮ টি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা করে নেয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান যখন এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল তখন সেখানে যায়নি ভারত ।ফলে হাইব্রিড মডেল খেলা হয়েছিল।
নিজেদের সব ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় খেলেছিল টিম ইন্ডিয়া ।২০২৫ সালেও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলতে পাকিস্তানে রোহিত শর্মা বিরাট কোহলিরা যাবেন কিনা সে বিষয়ে বিসি সি আই এর তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। নিরাপত্তার কথা ভেবে পাকিস্তানের একাধিক শহরে ভারতের খেলা রাখা হয়নি ।ভারত সব ম্যাচ খেলবে গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ।পিসিবি না হয় নিজেদের মতো করে সবকিছু তৈরি করল কিন্তু ভারত কি যাবে আদৌ খেলতে এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। ২০০৮ সালে মুম্বাই হানার পর থেকে ভারত আর পাকিস্তানের খেলতে যায় না। বিসিসিআইয়ের উপর তেমন কিছু নির্ভর করে না। ভারত সরকারের অনুমতি ছাড়া বিসিসিআই এর কিছুই করার নেই। সে ক্ষেত্রে আবার কোন নিরপেক্ষ প্রস্তাব আসতে পারে।
Discussion about this post