অনেকেই মনে করেন তিনি ভারতীয় দলে যে যোগ্যতায় ছিলেন সেই যোগ্য সম্মান তিনি দেশের থেকে পেলেও দলের থেকে পাননি। তিনি আরও বেশ কিছুদিন দলের হয়ে খেলতে পারতেন।অনেকে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন যে তিনি আবার হয়তো ভারতের জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন। ভাবছেন কিভাবে?
এই মরশুমের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে যাবেন রাহুল দ্রাবিড়। ইতি মধ্যেই তাঁর উত্তরসূরি খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে বোর্ড । আর সুত্রের খবর এ বার কলকাতার দলে পরিবর্তন এনে দেওয়া ব্যক্তিটির দিকেই নজর ভারতীয় বোর্ড তথা বিসিসিআইএর । হ্যাঁ এখন আপনারা বুঝে গেছেন কার কথা বলছি, তিনি হলেন কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীর। সুত্রের দাবি, বোর্ডের তরফে গম্ভীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যদিও তিনি কোচের পদে আসতে আগ্রহী কি না তা জানা যায়নি।অনেকেই মনে করছেন আইপিএল শেষ হলেই সমস্ত বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে। এই মরশুমের আইপিএল শেষ হয়ে যাওয়ার পর বোর্ডকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে কেকেআর মেন্টরের। হয়তো সেখানেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে যদি সুত্রের দাবি সঠিক হয়।
এদিকে আগামী ২৭শে জুন কোচ হওয়ার পদে আবেদন করার শেষ দিন। সেক্ষেত্রে কেকেআর ফাইনালে উঠলেও হাতে এক দিন সময় পেয়ে যাবেন গম্ভীর। । দ্রাবিড় ইতিমধ্যেই তার সিদ্ধান্ত বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আর কোন ভাবেই কোচ হতে আগ্রহী নন।
একটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বোর্ডকে বিবেচনা করতে হবে। সেটি হল আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই গম্ভীরের। তবে মেন্টর হিসাবে তিন বছর কাজ করছেন আইপিএলে। আগের দু’বার লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর থাকাকালীন দলকে প্লে-অফে তুলেছিলেন তিনি। এ বার গম্ভীরের অধীনে কেকেআর আইপিএলের শীর্ষে। শাহরুখ খানই গম্ভীরকে ভালো ভাবেই চেনেন তাই এক রকম জোর করেই গম্ভীরকে মেন্টর হতে রাজি করিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে শাহরুখ খান গম্ভীরকে এত তাড়াতাড়ি ছাড়তে চাইবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন গম্ভীর। দু’টি প্রতিযোগিতাতেই ফাইনালে দলকে জেতানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। দলকে আবার বিশ্বের দরবারে যোগ্য জায়গায় পৌঁছে দিতে তিনি বোর্ডের আবেদনে রাজি হল কিনা তাই এখন দেখার
Discussion about this post