দ্বিতীয় দফার সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে গোয়াকে দুই শূন্য গোলে হারিয়ে, দুদফায় মোট পাঁচ দুই গোলের ব্যবধানে জিতে , আইএসএল লিগে ফাইনালে মোহনবাগানের মুখোমুখি হচ্ছে মুম্বাই এফসি। আগামী ৪ঠা মে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে এই ফাইনাল ম্যাচ ।
রবিবার দ্বিতীয় দফা সেমিফাইনালে মোহনবাগান ওড়িশা কে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে । মোহনবাগানের সামনে রয়েছে লিগ শিল্ড জয় করে ত্রি মুকুট জয়ের সুযোগ। এর আগে একমাত্র মুম্বাই এফসি, এক বছরে লিগ এবং শিল্ড উভয়েই জয় করেছিল । মোহনবাগান এর আগে কোনদিনও এক বছরে লিগ শিল্ড জয় করতে পারিনি । এ বছর ঘরের মাঠে রয়েছে তার সুবর্ণ সুযোগ । ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে ফাইনালে সামান্য হলে মোহনবাগান এগিয়ে আছে । মোহনবাগানের কোচ হাবাস বলেছেন, দলের মানসিক শক্তি দুর্দান্ত বলেই মোহনবাগান এখানে পৌঁছেছে। মোহনবাগান খেলোয়াড়দের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা আছে । ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিনি খেলোয়াড়দের বলেছিলেন সবচেয়ে জরুরি হলো ইচ্ছা শক্তি ,যেন ইচ্ছা শক্তিতে ঘাটতি না হয় ।
মোহনবাগান খেলোয়াড় রা পুরো ম্যাচ সময় শক্তি উৎসাহ নিয়ে চলেছে এবং পরিবর্তে হিসেবে যারা নেমেছে তারাও একই রকম লড়াই করেছে এবং আমরা একটা সম্পূর্ণ দল হিসাবে খেলে ফাইনালে উঠেছি। মোহনবাগানের বিদেশী স্ট্রাইকার কামিন্স বলেছেন তার বিশ্বাস আছে মোহনবাগানের আইএসএলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। যুবভারতী খেলা বলে তিনি খুব খুশি । তার মতে, নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার অনুভূতি আলাদা ঘরের মাঠে আমরা বাড়তি সুবিধা অবশ্যই পাব। মোহনবাগান মিডফিল্ডার সাহালা আব্দুল সামাদ বলেছেন , সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা । কাজেই শেষ মুহূর্তে আমাদের লড়ার জন্য আমরা তৈরি।
আগের সপ্তাহে আইএসএল এর তরফ থেকে জানানো হয় ফাইনালে যে দু দল উঠবে লীগ তালিকায় তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে নির্ধারিতভাবে ম্যাচের কেন্দ্র । অর্থাৎ মোহনবাগান ফাইনালে উঠলে ম্যাচ হবে যুবভারতীতে, কারণ মোহনবাগান লীগে শীর্ষস্থান দখল করেছিল । শনিবার যুবভারতী মাঠে দশম আইএসএলের ফাইনালে নীতা আম্বানির থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল । গতকালের দ্বিতীয় দফার সেমি ফাইনালে ধারেও ভারে মুম্বাই অনেক এগিয়েছিল গোয়ার থেকে। হর্ঘে দিয়াস ও লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে র গোলের পরে দুই পর্ব মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় পাঁচ দুই । মুম্বাই খুবই পরিকল্পনার মত খেলেছে। মুম্বাইয়ের আর্জেন্টিনীয় স্ট্রাইকার হর্ঘে দিয়াস , বিক্রমপ্রতাপ সিং এবং লালিয়ানজুওয়ালা ছাঙতে খুবই ভালো ফর্মে রয়েছেন ।
এছাড়া মুম্বাই য়ের দুই ডিফেন্ডার ইস্ট বেঙ্গলের ছেড়ে যাওয়ার রাহুল থেকে এবং মোহনবাগানে খেলে যাওয়া স্টপার তিরি দুজনেই খুব ভালো সামলাচ্ছে মুম্বাইয়ের ডিফেন্স । এবছর আই এস এল সবচেয়ে বেশি গোল করার সঙ্গে সঙ্গে মুম্বাই কিন্তু গোল খেয়েছে সবচেয়ে কম । তাই ফাইনালে যে লড়াই জমজমাট হবে একথা বলাই যায়।
Discussion about this post