অলিম্পিক্সের রেস ট্র্যাক বলতে সব সময় চোখের সামনে ভাসে লালচে কমলা উজ্জ্বল রঙের রেসিং ট্রাক। তার উপর লেন ভাগাভাগি হয় সাদা দাগের মাধ্যমে চোখ অভ্যস্ত এই রঙেই। সেই অভ্যাস বদলানো সুযোগ করে দিচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক্স। এবার প্যারিস অলিম্পিক্সের রেস ট্র্যাকের রং বেগুনি বা পার্পেল ।।ঠিক কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মত বেগুনি নয় তার চেয়ে বেশ কিছুটা হালকা। তবে নতুন রং চোখ অনেকের। প্যারিস অলিম্পিক্সের জন্য নিযুক্ত স্পোর্টস ম্যানেজার হ্যালো অ্যালোইন ব্লন্ডেলের ব্যাখ্যা ,”আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটা কিছু যা আগে কেউ দেখেনি। আউট অফ দা বক্স ভাবনা থেকেই এই রঙ।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের গেমসের ভ্যেনুগুলোতে মূলত তিনটি রঙের থিম নীল সবুজ ও পার্পেল। আমরা তা থেকেই ট্রাকের রং পার্পেল করা সিদ্ধান্ত নিই। ট্র্যাকের পার্পল একটু হালকা, সার্ভিস এরিয়ার পার্পল একটু গাঢ় আর টার্নের অংশগুলোতে গ্রে ।যেরকম ছিল ১০০ বছর আগে ১৯২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সে। এই ট্র্যাকের প্রস্তুতকারক ইতালির মন্ড নামে একটি সংস্থা ।যারা ১৯৭৬মন্ট্রিয়ল অলিম্পিক্স থেকে ট্র্যাক তৈরি করছে। এই ট্র্যাকে দুটো স্তর থাকে। উপরের স্তরটি তৈরি হয় ভেলকানাইজড রাবার দিয়ে। যা ভালো গ্রিপ করতে সাহায্য করে। নিচের স্তরটি হাওয়া ভরা ক্যাভিটি থাকে ,যা সঠিক বাউন্সের জন্য দায়ী ।
এই সংস্থার ট্র্যাক ই বিশ্বের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের ।এর উপর দিয়ে আথলিটরা দ্রুত দৌড়াতে পারে। প্রস্তুতকারকদের মতে ,ট্র্যাকের দুটি স্তরই ক্রমশ উন্নত হচ্ছে ।কারণ বিশ্বের সেরা অ্যাথলিটদের মতামত জেনে সূক্ষ্ম বদল করা হয়ে থাকে প্রায়ই। এবারে প্যারিসের বাইরে স্তরটি আগের চেয়ে বেশি ইলাস্টিক। নিচের হাওয়া ভরা ক্যাভিটিও উন্নত। ফলে ,রেকর্ড হতেই পারে ।তাই অ্যাথলিটরা আশায় পুরনো কিছু রেকর্ড ভেঙে তাঁরা নতুন রেকর্ড করতে পারবেন। ভারতে মন্ডো সংস্থার ট্র্যাক আছ একমাত্র কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের ইনডোরে। যে এস ডব্লু ইন্সপায়ার ইনস্টিটিউটে শুধু লং জাম্পের ট্র্যাক আছে। যেখানে গত বছর জাতীয় রেকর্ড করেছিলেন লং জাম্পার জেস্বিন অলড্রিন। প্যারিসে তিনি সাফল্য আনতে পারবেন কিনা এখন সেটাই দেখার।
Discussion about this post