যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ ।যে দেশের মানুষের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। তালিবানি শাসনের চাপে ওখানকার মহিলাদের স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই । নানান বাধা নিষেধে আবদ্ধ দেশের মানুষ। সেরকম একটি দেশের সম্বল এখন খেলাধুলা। যা নিয়ে মেতে থাকে চাইছে আফগানিস্তানের মানুষ। সম্প্রতি ভারত থেকে ফিফা রাঙ্কিং এ পিছিয়ে থেকেও আফগানিস্তান ফুটবলে ভারতকে হারিয়েছে ।কাতারের মতো দেশের সাথে ড্র করেছে। আর ক্রিকেটে তো এই মুহূর্তে আফগানিস্তান পৃথিবীর অন্যতম সেরা শক্তি। যে দেশের বহু ক্রিকেটার ভারতের হয়ে আইপিএল অংশগ্রহণ করে এমনকি আইপিএল বিজয়ী কেকেআরেরও খেলোয়াড় গুরবাজ সিং এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
আফগানিস্তানের রশিদ খান দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আইপিএল এ খেলছেন। এ পর্যন্ত আইপিএলের যে কজন বোলার প্রায় আনপ্লেবেল তাদের মধ্যে রশিদ খান অন্যতম। গত কয়েক বছর ধরে আইসিসি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রমাণ করে আসছে আফগানিস্তান দল। বিশ্বকাপের প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দিয়েছে রশিদ খান রা। ফজলুল হক ফারুকী, রশিদের সামনে দাঁড়াতে পারল না কিউইরা । মাত্র ৭৫ রানে অলআউট দল উইলিয়ামসের দল।৮৪ রানে বিশাল হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে। ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে চাপে থাকে নিউজিল্যান্ড। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় হার গ্রহণ করল। কিং উইলিয়ামস ড্যাডি নিচের শহর কোন ব্যাটারি বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি ক্রিজে তারা হিমশিম খেয়েছেন ফারুকী রশিদ খানদের মোকাবিলায় প্রসিত ও ফারুকী দুজনেই মেয়েছেল চাকরি করে উইকেট হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন গ্লেন ফিলিপ্স।
এর আগে ব্যাট হাতে আফগানদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত ।সেই অনুসারে অবশ্য শেষটা ভালো হয়নি ওপেনিং জুটিতে রহমান উল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম নিজে তুলেছিল ১০৩ রান। তবে গুরবাজে ঝোড়ো ড ব্যাটিং এর বিপরীত চিত্র দেখিয়েছে ইব্রাহিম। তিনি ৪১ বলে ৪৪ ফিরলে আপনাদের বড় পুঁজি এনে দেওয়া জুটি ভাঙে। ওমর যাই তেরে বলে ২২ রান করেন ১০৩ রানের প্রথমে কে হারানো আফগানরা পরের ৩৩ বলে ৫৬ রান তুলতেই আরো পাঁচ উইকেট হারায়। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫৬ বলে পাঁচটি করে চার ছক্কায় ৮০রান করেন গুরবাজ । বিপরীতে কি ঈদের হয়ে দুটো করে উইকেট পেয়েছেন টেন বোল্ট এবং ম্যাথ হেন্ডিও লাকিফার্গুসন একটি উইকেট পেয়েছেন।
Discussion about this post