তাদের যখন প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে, চমকে ওঠে ক্রিকেট বিশ্ব। স্কুল ক্রিকেটে দুই বন্ধু ৬৬৪ রানের পার্টনারশিপ সাড়া ফেলে দেয় ক্রিকেটমহলকে।হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসে একই গুরুর দুই শিষ্য। তারপর বেশ কিছুটা সময় দু-জনের উত্থান আর উত্থান। কিন্তু হঠাৎ করেই একজন হারিয়ে গেলেন ক্রিকেট থেকে, তিনি হলেন বিনোদ কাম্বলি। তবে আবার এক মঞ্চে সচিন তেন্ডুলকর এবং বিনোদ কাম্বলি। দীর্ঘ দিন পর মঙ্গলবার মুম্বইয়ে একসঙ্গে দেখা গেল দুই বাল্যবন্ধুকে। একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চের এক ধারে বসে থাকা কাম্বলির সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে কথা বলেন সচিন নিজেই। সচিন-কাম্বলিকে আবার মেলালেন তাঁদের প্রয়াত কোচ রমাকান্ত আচরেকর। তাঁর একটি স্মৃতিসৌধ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন আচরেকরের দুই প্রিয় ছাত্র। দু’জনেই এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। কাম্বলি আগে এসে মঞ্চের এক ধারে নির্দিষ্ট আসনে বসেছিলেন। অল্প কিছু ক্ষণ পরেই আসেন সচিন। মঞ্চে উঠেই তিনি দেখতে পান বন্ধু কাম্বলিকে। এগিয়ে যান তাঁর কাছে। কাম্বলির হাত ধরে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন সচিন। সে সময় দু’জনকেই হাসতে দেখা যায়। দু’জনের কথা বলার সময়ের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।কিছু দিন আগে কাম্বলির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা গিয়েছিল, প্রাক্তন ক্রিকেটার ঠিক মতো হাঁটতে পারছেন না। দেখে তাঁকে অসুস্থ মনে হয়েছিল। তারও কিছু দিন আগে নিজের আর্থিক অনটনের কথা বলে চাকরির আবেদন করেছিলেন কাম্বলি।তখন অনেকেই ভেবেছিলেন সচিন আগিয়ে আসবেন বন্ধুকে সাহায্য করতে। কিন্তু তখন তেমন কিছু ঘটেনি। স্কুলজীবনে সচিন এবং কাম্বলি ৬৬৪ রানের জুটি গড়ে একসঙ্গে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন। পরে দু’জনেই জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুটা ভাল করলেও নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি কাম্বলি।বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে এবং ফিটনেস হারিয়ে ক্রিকেট থেকে দুরে সরে যান তিনি। তারপর হিন্দি সিনেমাতে আসেন,সেখানেও ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়, পরে শুরু করেন ক্রিকেট কোচিং,কিন্তু করোনাকালে সেটাও ধরে রাখতে ব্যর্থ হন, ফলে ক্রমশ হারিয়ে যান বিনোদ কাম্বলি। অন্য দিকে সচিন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে। সচিন, কাম্বলি ছাড়াও আচরেকরের হাতে তৈরি হয়েছেন প্রবীণ আমরে, পরশ মাম্বরে, সঞ্জয় বাঙ্গার, সমীর দিঘে, বলবিন্দর সিংহ সান্ধুর মতো ক্রিকেটার। তবে সচিনই তার গুরুকে সবথেকে বেশী সম্মানিত করেছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ গ্রহন নিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক দড়ি টানাটানির পর, যদিও বা হাইব্রিড মডেলে ভারত পাকিস্তান রাজি হল।...
Read more
Discussion about this post