ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ সিং কে দিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ফান পার্কের উদ্বোধন । দ্বিগুণ প্রাইস মানি। জমজমাট ব্র্যান্ডিং ।সবই ঠিকঠাক চলছিল । কিন্তু দুধে চোনা পড়ে যাওয়ার মত ঝামেলা পাকাচ্ছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকে স্টেডিয়ামের ২২ গজ। বিশ্বকাপের দুটো ম্যাচ হয়েছে । কেউ আগে ব্যাট করে ১০০ পেরোতে পারেনি। বল বেয়াড়া আচরণ করছে। কখনো নিচু হচ্ছে কখনো বিদঘুটে লাফাচ্ছে। ব্যাটার রা চোটও পাচ্ছেন। খুব সংক্ষেপে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই উইকেট অচল বললে কিছুই বলা হয় না। সঠিক শব্দ হতে পারে ‘আন্ডার প্রিপেয়ার্ড ‘। এরপরেও যদি ইউএসএ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ রবিবারের ম্যাচের আগে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়, তাহলে আইসিসির কপালে দুঃখ আছে । রবিবার টিভিতে চোখ রাখবেন প্রায় বিশ্বের 200 কোটি মানুষ। কিন্তু ম্যাচটাই যদি আন্ডার পিপেয়ার্ড ক্রিকেটের জন্য ঘেঁটে যায় বিশ্বকাপের সেনসেক্সটাই ধুপ করে পড়ে যাবে।
স্ট্রোক করে খেলবে কি প্রতি মুহূর্তে বেটার সিম মুভমেন্ট কে ফেস করছে। ফেস করছে অদ্ভুতুড়ে বাউন্স। আয়ারল্যান্ড ম্যাচে রোহিত শর্মার কাঁধে লেগেছে, বেয়াড়া ভাবে লাফিয়ে কব্জিতে লেগেছে ঋষভেরও। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এর মত ব্যক্তি বলে ফেলেছেন, এই পিচ টাকে ডেঞ্জারাস বলা যেতে পারে’। অস্ট্রেলিয়া থেকে উঠিয়ে আনা ড্রপ ইন পিচ এখানে সেভাবে থিতু হওয়ার সুযোগ পায়নি। মার্চ পর্যন্ত নিউইয়র্ক ছিল বরফাবৃত । ফলে আমদানিকৃত পিচ নিয়ে যাওয়া হয় ফ্লোরিডায়। অনেক পরে নিউইয়র্কে পিচ ও আউট ফিল্ড বসানোর কাজ শুরু হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আগে জুনিয়র পর্যায়ের ক্রিকেটে যেভাবে খেলার সুযোগ ছিল না। টসে যে জিতবে তার অ্যাডভান্টেজ থাকবেই ।দুটো টিমই যে এক ঝাঁক পেসারের দিকে ঝুঁকবে, তাও জানা কথা ।
ভারতের বাজি যদি বুমরা ,সিরাজ আর্শদীপ,হার্দিক হয় পাক টিমে থাকবেন শাহিন আফ্রীদি, মহম্দদ আমীর,হ্যারিস রউফ,নাদিম শাহ । যাদের বলের গতি ১৪০ প্লাস তো বটেই ডেলিভারির পয়েন্ট ও বেশি উচ্চতা থেকে। কিন্তু এই ফরম্যাটে লো স্কোরিং ম্যাচ মানে স্পন্সরদের লক্ষ লক্ষ ডলার জলে চলে যাওয়া। পাক্কা ৪০ ওভারের ম্যাচ হবে । লাস্ট ওভারের ডিসিশন হবে । তবে না বিনিয়োগ করা ডলার তিনগুণ হয়ে ফিরবে। কিন্তু তেমন ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা কতটা ? স্ট্যাচু অফ লিবার্টিও বলতে পারবে না।
Discussion about this post