রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া নেই একজনও বাঙালি। নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশে ১১ জনই বাঙ্গালি। কানাডা বিশ্বকাপ দলের রয়েছে বঙ্গসন্তান। কারন বাঙালি নারিন নামে তিনি পরিচিত। ক্যারিবিয়ান তারকা সুনীল নারিন তাঁর জীবনের ধ্রুবতারা। কানাডা জার্সিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেমেছেন বাঙালি নিখিল দত্ত। কিন্তু বিশ্বকাপে ঠিক আগেই তো চূড়ান্ত দলে তাকে রাখা হয়নি।প্রত্র পত্রিকায় খবর হয়েছিল, বোর্ড রাজনীতির শিকার হয়ে দল থেকে বাদ পড়েছেন নিখিল দত্তসহ আরো দুজন। বোর্ডের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন নিখিল বাদে বাদ পড়া দুই ক্রিকেটার। আদালতের রায় নতুন করে আবার দল নির্বাচন করা হয়। দলে ঢুকে পড়ে নিখিল।
ক্রিকেট মাঠে বাঙালিদের স্বপ্ন দেখানো সৌরভ বহু আগে ব্যাট প্যাড তুলে রেখেছেন। তার স্বপ্নের ব্যাটনটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত এই মুহূর্তে কেউ নেই । রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার মেনেছে কানাডা। বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে নিখিল পেয়েছেন একটি উইকেট। রবিবার ফোনে পিতা মিহির দত্তের সঙ্গে যখন যোগাযোগ করা হলে তখন ছেলের পারফরম্যান্স আশানুরুপ হয়নি বলে হতাশা গোপন করেননি তিনি। এক সময় কলকাতা ক্লাব ক্রিকেটে উয়াড়ি, খিদিরপুরের হয়ে খেলা মিহির বাবুএক নিঃশ্বাসে বলে যাচ্ছিলেন , এই ম্যাচের রেশ এবার পরের ম্যাচে পড়বে না তো? জুন মাসের ৭ তারিখ কানাডার দ্বিতীয় ম্যাচ আয়ারল্যান্ডে সঙ্গে। সেই ম্যাচের আগে ৬ তারিখ নিখিল নিউইয়র্কে যাবেন সঙ্গে যাবেন মা শ্রীলা দেবী এবং শ্রী মেঘলা। মিহির বাবুকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তায় লিখে লিখেছেন, একটা ম্যাচ খারাপ হতেই পারে পরের ম্যাচগুলোতে আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরব। বাংলায় মহারাজের প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গেই যেন সীমিত পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি ক্রিকেট আড্ডা। ঘরের পাশে আরশি নগরে একজন বাঙালিও এবারও সগর্বে ঘুরবেন বিশ্বকাপের আসরে। আমরা পারছি না কেন? কেন পিছিয়ে পড়ছি এই কথাটা যেন বুদবুদ হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে এই বাংলার বাঙালির বুকে। জামাইকা ,গুজরানওয়ালা, বার্বাডোস ,রোপার , চন্ডিগড়, রাওয়ালপিন্ডি.… কানাডার বিশ্বকাপ দলে বহু ভাষাভাষী এবং বহু সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সেই দলটি এক বঙ্গ সন্তান আসল যুদ্ধক্ষেত্রে বাঙালির জয়দ্ধজা ওড়াচ্ছেন । কানাডার নিখিল দত্ত আসলে এই লড়াইয়ের নাম । হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালি! নেই, বাঙালি কোথাও নেই ।এই দীর্ঘশ্বাস যখন পরিতাপের কারণ হয়ে উঠেছে তখন চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অন্য এক চিত্রনাট্য তুলে ধরছে। বলে দিয়ে যাচ্ছে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বাঙ্গালীদের রয়েছে আগের জায়গাতেই । ঊষর জমিতে এখনো ফুল ফোটাতে পারে, দরকার শুধু আত্মবিশ্বাস আর মনের জোর।
Discussion about this post