সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন অনুপ মাঝি ওরফে লালা। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে শুনানির পরে তাকে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন লালার আইনজীবী অভিষেক মুখার্জি। লালাকে নিজের গ্রামের বাড়িতে থাকতে হবে, তিনি কোথাও যেতে পারবেন না, সহ কয়েকটি সর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান লালার আইনজীবী অভিষেক মুখার্জি। সিবিআই-র পাশাপাশি কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে ইডি।
সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-র মামলায় লালাকে রক্ষাকবচ দিলেও ইডির মামলায় তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এই আবহে আজ লালা আত্মসমর্পণ করায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করবে কি না, তা ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে রেলের বিভিন্ন সাইডিং এলাকা থেকে কয়লা চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল ২০২০ সালে। সেই সময় আয়কর দফতর নড়েচড়ে বসে। পরে এই নিয়ে তদন্তে নামে সিবিআই। সেই সময়ই লালার বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তাঁর বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলায় লালা ঘনিষ্ঠ চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল সেই সময়। যদিও পরে তিনজন জামিন পেয়ে যান। তবে লালা ঘনিষ্ঠ গুরুপদ মাঝি জামিন পাননি। বর্তমানে তিনি দিল্লির তিহার জেলে বন্দি। এদিকে অভিযোগ ওঠে, লালার সঙ্গে যোগ রয়েছে গরু পাচারের ‘মূল মাথা’ এনামুল হকের। লালা নাকি কয়লা পাচারের জন্য এনামুলের সাহায্য নিতেন। এছাড়া এই কয়লা পাচারের সঙ্গে পুলিশ, প্রশাসন, ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড, রেল কর্তাদের একাংশের যোগ রয়েছে লালার সূত্রে। এই মামলায় একাধিকবার তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার এই আবহে লালার আত্মসমর্পণে এই মামলায় নয়া মোড় আসতে পারে ।
Discussion about this post