প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক দেবাশিষ ধর বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ‘নো-ডিউজ’ সার্টিফিকেট না পাওয়ায় স্ক্রুটিনির সময় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও এই আশঙ্কা আঁচ করে বিজেপি শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় প্রার্খী হিসেবে দেবতনু ভট্টাচার্যকে মনোনয়ন দেয়। তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল না হওয়ায় বীরভূমে সমস্যায় পড়েনি বিজেপি। কিন্তু একই সমস্যা এবার দেখা দিতে পারে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে।
২০১৯ লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রামের বিজয়ী প্রার্থী কুনার হেমব্রম এবার লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। ফলে তাঁর পরিবর্তে এবার ঝাড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থী করেছে ডঃ প্রণত টুডুকে। কিন্তু এবার তাঁর মনোনয়নপত্রও বাতিল হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে। কারণ প্রণত টুডু দীর্ঘ ১২ বছর ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেডিওলজি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। লোকসভা ভোটের কিছুদিন আগেই তিনি হাসপাতালের চিকিৎসক পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না আসায় প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করতে দেরি হয়। পরে স্বাস্থ্য দফতর এনওসি দেয়। এরপর গত ৩০ এপ্রিল ডঃ প্রণত টুডু ঝাড়গ্রাম জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, যেহেতু ডঃ প্রণত টুডু দীর্ঘদিন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন সেহেতু তাঁকে রাজ্য সরকারের থেকে নো ডিউজ সার্টিফিকেট নিয়ে জমা দিতে হবে। না হলেই মনোনয়ন বাতিল হতে পারে প্রণত টুডুর। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপিও সেই আশঙ্কা করছে। সূত্রের খবর, বিজেপি ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রামে ডামি প্রার্থী ঠিক করে রেখেছে। তাঁর নাম বকুল মুর্মু। যদি স্ক্রুটিনির সময় ডঃ প্রণত টুডুর মনোনয়ন বাতিল হয় তবে বকুল মুর্মুই হবেন বিজেপি প্রার্থী। ঠিক যেমনটা হয়েছে বীরভূমে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম থেকে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম। তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ১২ হাজার ভোটের। এবার তিনি বিজেপির টিকিট পাবেন কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিল, পাশাপাশি জয়ের ব্যাপারেও অনিশ্চিয়তা ছিল। ফলে বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম রাজনীতি থেকেই অবসর নিয়েছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী করেন এলাকার পরিচিত মুখ ডঃ প্রণত টুডুকে। কিন্তু এবার তাঁর প্রার্থীপদ নিয়েই তৈরি হল ডামাডোল। চিন্তায় পদ্মশিবির।
Discussion about this post