দীপাবলির আগেই আশঙ্কার কালো মেঘ জমছে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে। বঙ্গপসাগরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। মৌসম ভবনের ভবিষ্যতবাণী, আগামী দুদিনের মধ্যেই তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। তারপর ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে। অর্থাৎ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের কোনও এলাকায় তা আছড়ে পড়তে পারে।
দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সোমবার সকালেই নিম্নচাপটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই নিম্নচাপ রেখাটি ক্রমে ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে। এবং মঙ্গলবারের মধ্যেই প্রবল নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামী ২৩ অক্টবর তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। তখন তাঁর নাম হবে ডানা, এটি মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতারের দেওয়া নাম। এরপর উত্তর-পশ্চিম দিকে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগোতে শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় ডানা। আবহাওয়া দফতরের দাবি, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ডানা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। ফলে কালীপুজোর মধ্যে দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর গভীর সমুদ্রে অর্থাৎ মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এবং ২৬ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়া নিষেধ। আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে, উপকূলের কাছে সমুদ্রে ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। এছাড়া ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো আবহাওয়া থাকবে। হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। অপরদিকে আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কলকাতায় আপাতত বৃষ্টির সতর্কতা নেই। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামেও। আবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বুধবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
Discussion about this post