সম্প্রতি বজবজ এর ঘটনায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাই, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনীতির গর্তে ফেলল। বৃহস্পতিবার আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে বজবজে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তাকে পড়তে হল শাসক দলের সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে। উঠলো চোর স্লোগান। সুকান্ত কে লক্ষ্য করে উড়ে এলো চটি জুতো। কিন্তু পুরো ঘটনাটা কি একটি রণকৌশলের অংশ মাত্র? যেমনটি দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বৃহস্পতিবার বজবজে যেভাবে সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলা জানানো হলো, সেই ঘটনা নতুন নয় এর আগেও বহু সেশনের নেতৃত্বের উপর হামলার ঘটনা দেখা গিয়েছে রাজ্যে। কিন্তু এই ধরনের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা বা শাস্তি প্রদান অধরা।
উল্লেখ্য, বজবজে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে এবার সুকান্ত মজুমদার। ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে ‘চোর’ স্লোগানও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, সুকান্ত লক্ষ্য করে ছোড়া হলো জুতো, ইট পাথর। এদিন বজবজে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সুকান্ত মজুমদারকে।
তবে পাল্টা শাসকদলকেই চোর স্লোগান দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন এটাকে গণতন্ত্র কি বলে? তাকে অনুরোধ এই ভিডিওটা একবার দেখার জন্য। যেভাবে গণতন্ত্রকে রাস্তায় নগ্ন করে, ধর্ষণ করা হল, এটাকে গণতন্ত্র বলে না। কি অভিযোগ করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুনুন,,
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সিউড়িতে নারী সম্মান যাত্রায় সামিল হয়ে শুভেন্দু বলেন, সুকান্ত মজুমদার শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব বা মন্ত্রী নন, উনি একজন সফল শিক্ষক। তাঁর দিকে জুতো ছোড়া মানে সমগ্র শিক্ষক সমাজের উপরে জুতো ছোড়া। আমি এর নিন্দা করছি।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে কি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী শুনুন
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির তরফ থেকে বারে বারে দাবি করা হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা শুধুমাত্র ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক নন তাদেরকে ভাড়া করে নিয়ে এসে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে রাজ্য সরকার। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। তবে যত সময়ে গিয়েছে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে।
Discussion about this post