একুশে জুলাই-এর প্রস্তুতি হুগলি চুচুরা পুরসভার সভাকক্ষে। অভিযোগ, সভাতে ডাক পেলেন না পুর প্রধান। মঙ্গলবার হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা সভাকক্ষে আসন্ন একুশে জুলাই ধর্মতলা চলো আহ্বানকে সামনে রেখে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল চুঁচুড়া তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে। এই প্রস্তুতি সভায় চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার সহ, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এই প্রস্তুতি মঞ্চে দেখা গেল না হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা যে কক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় সহ হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার বিজয়ী তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের।
এ বিষয় নিয়ে হুগলী চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, ‘আমি একুশে জুলাই প্রস্তুতি সভা নিয়ে অনেকগুলি সভাতে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু আজকের এই প্রস্তুতি সভা নিয়ে আমাকে কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি। আমি নিশ্চয়ই আমন্ত্রণ পেলে উপস্থিত হতাম’। যদিও তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূল যারা করে, সবাই সমান. কেউ যদি নিজেকে আলাদা নেতা বলে ভাবে, আমার কিছু করার নেই’। এই ঘটনার পর শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি জেলার বিজেপি নেতৃত্বও। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ২১ জুলাইয়ের আগে ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের অন্তর্কলহ।
একইসঙ্গে মেদিনীপুরেও একই অবস্থা। একুশে জুলাইয়ের প্রচারকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুটি শাখা সংগঠনের গোষ্ঠী কোন্দল চলে এল প্রকাশ্যে । থানায় অভিযোগ দায়ের হল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সরকার পরিচালিত রাজ্যে যে ছটি স্পিনিং মিল রয়েছে তার মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি স্থিত তাম্রলিপ্ত কো-অপারেটিভ স্পিনিং মিল। আর সেই স্পিনিং মিলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়েই গোষ্ঠী কোন্দল তৃণমূলের শাখা সংগঠনের মধ্যে। স্পিনিং মিলে রাজত্ব করবে কে INTTUC নাকি ফেডারেশন তা নিয়েই তাদের নিজেদের মধ্যেকার কোন্দল চলে এল প্রকাশ্যে। নেত্রীর ছবি দিয়ে একুশে জুলাইয়ের সমর্থনের টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
Discussion about this post