কলকাতায় যখন চাকরিহারারা আন্দোলন করছেন, একদিকে যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অন্তত বকেয়ার ২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন। তিন দিনের সফরে গিয়েছেন তিনি। আর এবারে উত্তরবঙ্গে গিয়েই কলকাতার মতো একটি শিল্প-সম্মেলন করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ব্যবসায়ী গঠনগুলির নেতাদের মুখোমুখি হতেই বেশ কিছু আর্জি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। একেবারে সেখান থেকে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের কাছে এত টাকা নেই। রাজ্য এত খরচ করতে পারবে না।
এই সম্মেলনে প্রথম দিকে দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য প্রশাসনের প্রশংসা করেছেন ব্যবসায়ী সংগঠন গুলির নেতারা। কিন্তু শেষে তারা বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন। বিশেষ করে তারা কথা বলেছেন, বিদ্যুত বিলের সমস্যা। এটি চড়া হারে বিদ্যুৎ বিল হলে কিভাবে ব্যবসা হবে, প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
অন্যদিকে কোচবিহারের ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি প্রকাশ্যে বলেন, যে দোকানের নামান্তর করতে গেলে দু হাজার টাকা খরচ করতে হতো এখন সেখানে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে। আগে ট্রেড লাইসেন্স ৭০০ টাকাতে পাওয়া যেত, এখন সেটা ৭০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বিষয়ে জানিনা। যদিও এই বিষয়টি দেখার জন্য মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের কোথায় কি হচ্ছে সেটা তিনি জানেন না কেন? উঠছে প্রশ্ন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী কি বলেছেন, শুনুন
জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে
রাজ্যের তিন বিশিষ্ট শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া, সত্যম রায়চৌধুরী এবং রুদ্র চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত হয়ে ছিলেন। এর পাশাপাশি শিলিগুড়িতেই ওয়েবেলের ডেটা ব্যাঙ্ক এবং জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের চারটি শিল্পতালুকের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকি জল্পেশ মন্দিরের স্কাইওয়াকের ভিডিয়ো দেখেন তিনি।
Discussion about this post