২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলটা বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি চলে গিয়েছে ২৫,৭৫২ জনের। গোটা রাজ্যে তোলপাড় পরে গিয়েছে। হাহাকার, কান্না চাকরিহারাদের। এর মধ্যে সমস্ত চাকরিহারাদের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেদিনও দেখা গেল, স্টেডিয়ামের বাইরে হুলস্থুল কাণ্ড। আসলে এই কাণ্ড পাসকে ঘিরে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তখনই পৌঁছনো যাবে, যখন তার গলায় এই পাস থাকবে। কিন্তু সেই পাস নিয়েও নাকি দুর্নীতি!
আসলে বিগত কয়েক বছরে রাজ্য দুর্নীতি শব্দটি প্রায়শই উঠে এসেছে। কয়লা, বালি,খাদ্য.. এখন শিক্ষা। কিন্তু শিক্ষাতে দুর্নীতি যে কতটা ভয়ঙ্কর, সেটা বোধ হয় কয়েক বছর পর তার টের পাওয়া যাবে। এখন যে অভিযোগ সামনে আসছে সেটা হল, নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়ামে ঢোকার পাস ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাইরে পাস ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। জানা যাচ্ছে, একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চের সামনে যারা বসেছিলেন, তারা আসলে চাকরিহারা নন। তাহলে তারা করা? এমনকি এদের মধ্যে কয়েকজনকে কিছু সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করে, কিন্তু তারা ছিটকে বেরিয়ে যায়। আবার কেউ জানায়, তারা ভলেন্টিয়ার। অর্থাৎ এখানেও দুর্নীতির গন্ধ।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী ইন্দোর স্টেডিয়াম থেকে চাকরিহারদের অনুরোধ জানিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত সরকারের তরফে চাকরি বরখাস্তের নোটিশ যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত স্বেচ্ছা পরিষেবা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কারও চাকরি যাবে না। যোগ্যদের চাকরি তিনি ফেরাবেন। আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারের ব্যাখ্যা শুনবেন। কিছু না করা গেলে, যোগ্যদের বিকল্প ব্যবস্থা করবেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে বার্তাগুলো দিলেন, সেগুলি কি শেষমেষ আশ্বাসই থেকে যাবে নাকি সুপ্রিম নির্দেশের পরও রাজ্য সরকার কোনও দিশা দেখাতে পারবে চাকরি হারাদের? অনেকে বলছেন, মিথ্যে আশ্বাস।
এদিকে চাকরি প্রার্থীদের প্রায় ১৩টি মঞ্চ একসঙ্গে ২১ শে এপ্রিল এই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে চাকরিহারারা ঘোষণা করে দেয়। সংবাদিক বৈঠক থেকেই মঞ্চের নেতৃত্বের তরফে বলা হয়, কয়েকটি সংগঠন ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে। আগামীতে তাঁরাও এই মঞ্চে সামিল হবে বলেই আশাবাদী তাঁরা। এমনকি সেদিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তারা।
Discussion about this post