মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এই ঘটনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শুভেন্দু। পুলিশের দাবি, এক দুস্কৃতির খোঁজেই হানা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি, শাসকদলের নির্দেশেই এই কাজ করেছে পুলিশ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুরে কোলাঘাটে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই আচমকা হানা দেয় ৭০-৮০ জন পুলিশকর্মী। তাঁরা আচমকা সেই বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। অন্যদিকে শুভেন্দুর বাড়িতে পুলিশি অভিযানের খবর পেয়েই বিজেপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের তর্ক শুরু হয়ে যায়। পুলিশও তাঁদের প্রতিহত করতে সচেষ্ট হয়। এই খবর পেয়েই সেখানে ছুঁটে যান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, আমার কাছে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। তার পরও পুলিশ দমনমূলক পদক্ষেপ করছে। এটা করতে পারে না পুলিশ। শুভেন্দুর আরও দাবি, পুলিশের কাছে যদি সার্চ ওয়ারেন্ট থাকতো তবে তাঁর সামনেই তল্লাশি করতে পারতো। কিন্তু সেটা হয়নি। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে। শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি, “মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার আমি। ভাইপোর নির্দেশেই আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে হেনস্থা করা হচ্ছে”। তাঁর আরও দাবি, “কেন কোলাঘাটে আমার ভাড়াবাড়িতে কেন পুলিশ গেল সেটাই পরিস্কার নয়। তাঁর সংযোজন, আমার অনুপস্থিতিতে যদি পুলিশ দুই-একটা বন্দুক রেখে আসে বা হেরোইন রেখে এসে সেগুলো আমার বলে দাবি করে তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে?” শুভেন্দু অবশ্য এই ঘটনার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছেন সেটাও জানিয়েছেন।
Discussion about this post