বয়স মাত্র ৩৭ বছর। এই বয়সেই চিরদিনের মতো নিজের বাঁ চোখের দৃষ্টি শক্তি হারালেন কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিষ চক্রবর্তী। ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানের মিছিলেই উড়ে আসা ইঁটের টুকরোতে রক্তাক্ত হয় তাঁর বাঁ চোখ। চিকিৎসার পর বুঝতে পারেন বাঁ চোখের দৃষ্টি শক্তি আর নেই।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। আর জি কর-কাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে সমবেত হয়ে নবান্নের দিকে রওনা দিয়এছিল ছআত্র সমাজ। পুলিসের তরফে ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অনেক পুলিস কর্মী আহত হন। হাওড়া ময়দানে পুলিসকে তাড়া করে আন্দোলনকারীরা। এমনকি পুলিসকে ফেলে মারধরও করা হয়। একজন পুলিস কর্মীর মাথা পর্যন্ত ফাটে। আক্রান্ত হন ২ জন। বাবুঘাটে ট্রাফিক পুলিসদের উপর হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতারা হেস্টিংস মোড়ে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন কলকাতা পুলিসের সার্জেন্ট দেবাশিষ চক্রবর্তী। ভিড়ের মধ্যে থাকে আসা একটি ইঁটের টুকরো উড়ে এসে তাঁর চোখের মধ্যে লাগে। তিনি গুরুতর আহত হন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্পষ্ট করে দেখতে পাচ্ছিলেন না পুলিস কর্মী। তার তাঁকে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রে খবর, ইঁটের টুকরোতে তাঁর চোখের মণি ফেটে গিয়েছে। সেখানেই ৪ ঘন্টার অপারেশন হয় চোখে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, তিনি বাঁদিকে চোখে কোনওদিনই আর দেখতে পাবেন না। ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে কর্মরত অবস্থায় চিরতরে চোখের দৃষ্টি হারালেন পুলিস সার্জেন্ট দেবাশিষ চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, ১৪ই অগাস্ট মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচি ছিল গোটা রাজ্যে। বাগুইহাটিতে ইঁটের আঘাতে আঙত হন কর্তব্যরত মহিলা কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক। চোখে এবং মুখে আঘাত পান তিনি। তাঁরও একটি চোখের দৃষ্টি চলে গিয়েছে বলে খবর। এইবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল দেবাশিষ বাবুরও। যা ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
Discussion about this post