ফের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত প্রতিবেশি বাজ্য সিকিম। বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। মাঝে কয়েক দিন বিরতির পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে ফের পাহাড়ে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। সিকিমে তিস্তা নদীর জলস্তর ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপদসীমার উপরে উঠে গিয়েছে তিস্তার জলস্তর। তিস্তার জলের তোড়ে ভেসে গেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। সিকিমের সেলফিদারা পয়েন্টের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।
জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় পর্যটকদের বিকল্প নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। তিস্তা নদীর জলস্তর বিপদসীমার ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছে। আর তার জেরেই বেহাল সিকিমগামী রাস্তা। কার্যত স্থল পথে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সিকিম। সূত্রের খবর, সমস্ত গাড়িকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২৯ মাইল এবং গেইলখোলার মাঝে রাস্তার উপর বড় বড় পাথরের চাঁই পড়েছে অনবরত। ওই স্থানে সম্পূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিকল্প পথে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী গাড়ি গুলিকে জলপাইগুড়ির মালবাজার হয়ে লাভা, মংগন হয়ে রংপো হয়ে গ্যাংটকে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তা পুনরুদ্ধারের নেমেছে সেনা। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের মতোই সিকিমে ফের লাগাতার বর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি, টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে ভুটানেও।
স্বাভাবিক ভাবেই তিস্তার জলস্তর বাড়ছে। যেহেতু তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২৬০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ফলে দোমহনি এলাকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত অঞ্চলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামীতেও ভারী বৃষ্টি চলবে। অন্যদিক, শনিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে ধুপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তায় উপরে পড়েছে গাছ। একইভাবে একটানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে সমস্ত নদীতে। তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ফুঁসছে রবিবার সকালেই গজল ডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২৬০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার।
Discussion about this post