গো ব্যাক স্লোগান দিতে দিতে আসছেন গুটি কতক তৃণমূল কর্মী সমর্থক। সামনে হাসি মুখে হেঁটে চলেছেন কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী। তিনি মহম্মদ সেলিম। সিপিআইএম সন্ত্রাসবাদীদের দল, খুনি। শোনার পরেই প্রার্থী সেলিমকে দেখা গেল রীতিমত মারকুটে ভূমিকায়। তেড়ে গেলেন তৃণমূল কর্মীর দিকে। গলা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন তাকে। অনেককেই সেলিমের এমন মূর্তি দেখে সমালোচনা করবেন, নিন্দার বুলি আওড়াবেন। তবে সেলিব্রিটিদের একাংশ কিন্তু সেলিমের সপক্ষেই মুখ খুলেছেন। সেই তালিকায় যেমন আছেন শ্রীলেখা মিত্র, তেমন আছেন অনীক ধর, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়রা।
মহম্মদ সেলিমকে এমন ভূমিকায় দেখে দরাজ প্রশংসা করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। অভিনেত্রীর সাফ দাবি, সেলিম দু-একদিনে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা কোন নেতা নন। পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তিনি মুর্শিদাবাদের ভোট চলাকালীন নিজে বুথে-বুথে ঘুরছেন। আসলে জানতেন মনে হয়, এমনটা হবে। সেই কারণেই তিনি কারচুপিটা ধরতে পেরেছেন
শ্রীলেখার মত সেলিমের সপক্ষে বলেছেন পরিচালক অনীক দত্ত। সিপিআইএমের জোশ কোন অংশে কম নেই। তারা আসলে পরিস্থিতির শিকার। ফল্স ভোট, রিগিং, ভোটের আগে হুমকি, চমকানো, ধমকানো। সার্বিকভাবে ভোটের উপর প্রভাব ফেলেছে। নির্বাচনটা ঠিকমতো হলে অনেক আগেই অনেক কিছু হতে পারতো। গোটা দেশ জানে পশ্চিমবঙ্গে নাটক চলে ভোটের নামে। পার্টিকর্মীরা মার খাবেন, সাংবাদিকরাও মার খাবেন–এটাই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার কিন্তু পরিস্থিতি খানিক ঠান্ডা। কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। আর সেলিমের মতো রাজনীতিকরা তো আছেনই।
সিপিআইএমের সমর্থক বলেই পরিচিত বর্ষিয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। বললেন, সেলিমের এই মূর্তিটা দেখে একটাই কথা বলব, ভাল করেছেন। চোরগুলোকে গুলি করে মেরে ফেলা উচিত। বর্ষিয়ান নেতার আরও দাবি রাজনীতির যে চেহারাটা দেখছি তাতে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
রাজ্যে লাগামছাড়া দুর্নীতির ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল এবেলায় কেন চুপ বুদ্ধিজীবীরা। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের সময় তো পথে নেমে ছিলেন, সরব হয়েছিলেন। আজ তারা কোথায়। অনীক, শ্রীলেখাদের মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে সময় হয়তো ঘুরছে। হয়তো ফিরে আসছে বদলের দিন।
Discussion about this post