সামনেই ২৬ শের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে তৃণমূল সুপ্রিমোর নেতৃত্বে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে চলছে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল। নজরে বিভিন্ন পুরসভার পারফরম্যান্স। পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার দায়িত্বে আগামী এক মাসের মধ্যে রদবদল হতে পারে। দলীয় সূত্রে খবর, যারা দলে থেকে দলের কাজ করেনি তাদের চিহ্নিতকরণ শুরু হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তৃণমূল।
বিধানসভা ভোটের আগে পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন লোকসভা ভোটের পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ঠিক তেমনি সাংগঠনিক পদ থেকে বাদ পড়তে পারেন অনেকে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা ভোটের আগে ব্লক স্তরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রদবদল করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীরামপুর, হগলি, আরামবাগ এবং হাওড়া শহর ও গ্রামীণ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা, জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা, বহরমপুর – মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা।
অন্যদিকে, তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নতুন কমিটি ঘিরে শুরু হয়েছে বিরোধী দলগুলির মধ্যে জোড় বিতর্ক। যে যে নামগুলির সংযোজন হয়েছে তাদের মধ্যে এমন অনেক ছাত্র নেতার নাম রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে থানায় FIR রয়েছে। অনেকে আবার ছাত্র নয় এমন ৫০ % র বেশি নেতাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নতুন করে সাজাতে চাইছে তাদের ছাত্র সংগঠন। সেই কারণে তারা পরিবর্তন করেছে জেলা সভাপতি। এমনকি পরিবর্তন আনা হবে রাজ্য কমিটিতেও।
প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনে যাদের নামে অভিযোগ আছে তাদের এই পদন্নতি কেন ? TMCP রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, সাব্বির ভীষণভাবে একটা পলিটিক্যাল ডায়নামিক ছেলে। সাব্বির বা সৃঞ্জনকে আসলে ভয় পেয়েছে বিজেপি। এই জন্যই এদের ব্যাপারে অভিযোগ করছে। যাদের কথা বলছেন তাদের জনপ্রিয়তা আছে। তারা ছাত্রদের পাশে থাকে সারা বছর। দল দেখেছে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। আসলে মানুষের কাছে এদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।
পাল্টা বিজেপির মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, ওরা যেটা করছে সেটা সবাই জানে। যে যত বদমাশি ভালো করবে সে তত উপরে যাবে। এটা তো তৃণমূলের কালচার।
দলীয় সূত্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রদবদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।












Discussion about this post