ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁকে গ্রেফতার করা উচিৎ। সংসদে দাঁড়িয়ে জোরাল দাবি বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। প্রকৃতপক্ষে কোন্দলের সূত্রপাত অনেকটাই হয়েছিল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির কথার সূত্র ধরে। সংসদে বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে নাম না করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের উল্লেখ করেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্যার এবার আমি D-তে আসব। বঞ্চিত। যেভাবে মাননীয় সদস্য তাঁর স্ত্রীকে বঞ্চিত করেছেন। স্যর D ফর ডিপ্রাইভ।” এরপরই, নিজের আসন থেকে নেমে আসেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। সংসদে দাঁড়িয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁকে গ্রেফতার করা উচিৎ।বললেন বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানি মিনারেল ওয়াটার তৈরির কাজে যুক্ত। কিছুদিন আগে এমনই দাবি করেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠে এসেছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। জানা গিয়েছে ২০০৯ সালে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস তৈরি করেন। প্রাথমিকভাবে সেটি ‘পার্টনারশিপ ফার্ম’ ছিল। তিন বছরে ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি’-তে পরিণত করা হয়েছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে। জানা গিয়েছে শুরুতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর পদে থাকলেও আপাতত সিইও পদে রয়েছেন অভিষেক। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম সামনে আসার পর একাধিক বার তলবও করা হয় অভিষেক ব্যানার্জিকে। সূত্র বলছে কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণের ভদ্রকে জেরা করেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কথা জানা যায়। সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকার একটা অংশ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা টাকায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। পুরো ঘটনাটাই আপাতত তদন্ত সাপেক্ষ।
Discussion about this post