তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এখনই দায়িত্ব ছাড়ছেন না তিনি। ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন করে বীরভূমের জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছাড়বেন। সোমবার সিউড়ির ২ ব্লকের পুরন্দরপুরের মাঠে বান্ধব সমিতির সভা থেকে একথা জানালেন ‘কেষ্ট’ নিজেই। সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন নরুল ইসলাম। এই কথা শুনেই অনুব্রত তাঁকে ভাই সম্বোধন করেন। একই সঙ্গে বলেন, ‘দুই ভাই একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পদ ছাড়ব।’ এদিন অনুব্রত জানিয়ে দেন কবে তিনি ও নুরুল একই সঙ্গে কবে পদ ছাড়বেন। অনুব্রত বলেন, ‘বন্ধু নুরুল, ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে জেলা সভাপতির পদ থেকে আমি সরে দাঁড়াব। তখন তুমিও ব্লক সভাপতির পদ ছেড়ে দিও। দুই ভাই একই সঙ্গে দলের পদ ছাড়ব। নুরুল খুব ভাল ছেলে। আমরা একই সঙ্গে রাজনীতিতে পথ চলা শুরু করেছি একসঙ্গে কাজ করছি। আমি নুরুলকে বলব এখনই পদ না ছাড়ার কথা। আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী রে দেওয়ার পরে ছাড়তে হলে একসঙ্গে দাদা-ভাই মিলে ছাড়ব।’ প্রসঙ্গত, জেলা তৃণমূলে ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা’ বলে পরিচিত অনুব্রত আগে যেমন ঝাঁঝালো এবং বিতর্কিত মন্তব্য করতেন, এখন তাঁর কোনও বক্তব্যেই সেই ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে না। অনুব্রতের পাশে যে নেতা-কর্মীদের ছায়াসঙ্গীর মতো দেখা যেত, তাঁদের অনেককেও এখন কেষ্টর আশপাশে দেখা যায় না। যে কোর কমিটি নিয়ে কেষ্টর সঙ্গে দ্বন্দ্বের আবহ তৈরি হয়েছিল, সেই কমিটিরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। কিছু দিন আগেই সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বয়স অনেক হল। চলুন এ বার থেকে বীরভূম জেলায় নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করি। আমরা সবাইকে নিয়ে চলব। কোনও ভেদাভেদ রাখব না। আমাদের আর কিছু পাওয়ার নেই। আমরা মানুষের সেবা করব। বীরভূমকে আরও সাজিয়ে তুলব। সে ক্ষেত্রে আমি ভুল করলে আপনারা ধরিয়ে দেবেন। আমি কর্মী হয়ে থাকতে চাই। আপনাদের মতো দলের কাজ করব। মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক হতে চাই না। আমি কোনও অন্যায় করব না, কাউকে করতেও দেব না। অন্যায় করলে কোনও কিছু ভাল হয় না।’’
সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে ওয়াকফ বিল এরপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরেই আইনি রূপান্তরিত হয়ে ওয়াকফ আইন রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন...
Read more
Discussion about this post