একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল ভারতে নজরদারির জন্য বা বিভিন্ন উদ্দেশে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ড্রোন বসাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ভারত সীমান্তে তুরস্কের শক্তিশালী বেরাকটার টিবি২ ড্রোন মোতায়েন করছে বাংলাদেশ এই নিয়েই খবর করা হয়েছিল, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে খবর করে, পরেই তা থেকে ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। বাংলাদেশ সরকার এই নিয়ে ব্যাখ্যা দিল। বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিবের সমাজমাধ্যমের পেজে এই নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি তুরস্কের টিবি-২ ড্রোন ছোটখাটো হামলা চালাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুপ্তচরবৃদ্ধি, নজরদারি ও রিকনেসান্স মিশনের জন্য এই ড্রোনগুলি পরিচালিত করে থাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সংশ্লিষ্টমহল মনে করছে, এই ধরনের ড্রোন মোতায়েন করার ফলে সীমান্তে বৃদ্ধি পেতে পারে উত্তেজনা। যদিও বাংলাদেশের এই কৌশলকে মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত। এই পরিস্থিতিতে ভারত ইজরায়েল থেকে কেনা হেরন টিপির মতো ড্রোন সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা রয়েছে সীমান্ত এলাকায় ড্রোন বিরোধী অভিযান চালানোর। গোয়েন্দাদের মতে, বিচ্ছন্নতাবাদী শক্তি শেখ হাসিনার শাসনকালে অনেকটাই অবদমিত ছিল। কিন্তু, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর সেই সব জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো ফের মাথাচাড় দিয়েছে। মূলত তারা ভারত সামীন্তেই কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুয়ায়ী, সন্ত্রাবাদী গোষ্ঠী এবং চোরাচালান নেটওয়ার্কগুলি ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগাচ্ছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে ভারতীয় এ গোয়েন্দা আধিকারিক বলেছেন, “হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, সীমান্ত এলাকায় ভারত বিরোধী নানা কর্মকাণ্ড বেড়েছে। ভারতীয় সীমান্তের কাছে সেদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং উন্নত ড্রোন মোতায়েনের মত বিষয়ে জোরদার সতর্কতা প্রয়োজন”। প্রসঙ্গত, ইজরায়েল থেকে কেনা হেরন ড্রোনের কার্যক্ষমতা প্রায় ২৪ ঘন্টা। ২০০-২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের লাইভ ভিডিও ও ছবি তুলতে এবং পাঠাতে সক্ষম এই বিশেষ ড্রোন। স্যাটেলাইট সংযোগের এই ড্রোনগুলিতে থাকে সীমাহীন পরিসরের ট্রান্সমিশন। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে হাসিনা সরকার তুরস্ক থেকে কেনে টিবি-২ ড্রোন।
দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। এই সফরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের...
Read more
Discussion about this post