হজযাত্রী হিসেবে আসা পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে সৌদি আরবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানকে চিঠি পাঠিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। পাক সরকার ব্যবস্থা না নিলে কড়া পদক্ষেপ নেবে সৌদি। স্পষ্ট বার্তা সৌদি প্রশাসনের। এখনো পর্যন্ত সৌদি আরবে ভিক্ষুকদের সংখ্যা বেড়ে ৯০ শতাংশ পাকিস্তানি নাগরিক। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমের খবর, হজযাত্রী হিসেবে আসা পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে সৌদি আরবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানকে চিঠি পাঠিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। পাকিস্তানকে সতর্ক করে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে তারা। মঙ্গলবার পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়, যেখানে জানানো হয়েছে, সৌদির হজ মন্ত্রক পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রককে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেই চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, উমরাহ ভিসার মাধ্যমে ভিক্ষুকদের পাঠানো বন্ধ করুক পাকিস্তান। তা নাহলে পাকিস্তানের যারা সত্যিই সৌদিতে হজ করতে যাচ্ছেন, তাঁরাই সমস্যার মুখে পড়বেন। খবর, এই চিঠি পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রক একটি ‘উমরাহ আইন’ প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণত পাকিস্তানের একাধিক পর্যটন সংস্থা সেখানকার নাগরিকদের উমরাহ করতে পাঠায়। এবার নতুন আইনে সেইসব পর্যটন সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, হজে ভিক্ষুকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের মে মাসে সৌদি সরকার ফতোয়া জারি করেছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, অনুমতি ছাড়া হজ করতে আসতে দেওয়া হবে না সেদেশে। বেআইনিভাবে কেউ আসলে তাঁকে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা দিতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। গত বছর সেপ্টেম্বরেও হজযাত্রীর ছদ্মবেশে থাকা ১৬ জন ভিক্ষুককে সৌদি আরবগামী একটি বিমান থেকে নামিয়ে আটক করা হয়েছিল। এক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দাবি, বিদেশে গ্রেপ্তার হওয়া ভিক্ষুকদের ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়ার আর একটি মুসলিম দেশ বাংলাদেশের নাগরিকরা।
বাংলাদেশে আওয়ামী লিগের সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতীয় দূতাবাস কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সেখান থেকে ভিসা প্রদান কার্যক্রমও বন্ধ...
Read more
Discussion about this post