রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে শুধু ঝড়বৃষ্টিই নয়, আগামী সপ্তাহে ধেয়ে আসতে পারে ঘূ্র্ণিঝড়ও। বিভিন্ন আবহাওয়ার মডেল অনুযায়ী,
বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের শেষে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ তৈরি হতে পারে। পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হওয়ার ৭০%-৮০% সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরীর সম্ভাবনা। সেই ঘূর্নাবর্ত মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হবে। আর এই নিম্নচাপের প্রভাবেই কালীপুজোর আগে দুর্যোগের চোখ রাঙানির সম্ভাবনা তৈরি হবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আগামী সপ্তাহেই হাজির হতে পারে নিম্নচাপ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের জোড়া ফলাও।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা প্রকট হচ্ছে। আগামী ২৪ থেকে ২৬ এ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে।
আবহবিদরা মনে করছেন, ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানলে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ অনেকটাই বেশি হবে। বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তার গতি হবে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। তবে ঘূর্ণঝড়ের অভিমুখ যাই হোক বা কেন, দুটি ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গের ওপর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে পারে।
উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে আগামী মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও থাকবে । ২৩ ও ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও রয়েছে। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । রবিবার কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। উপকূলের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বজায় থাকবে ।
মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। মঙ্গল ও বুধবার এই জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে।
Discussion about this post