আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ সরকারি হাসপাতালে নারকীয় ঘটনা।এবার চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারীরা আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় নির্যাতিতার নাম ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত অসংবেদনশীল এবং অনুচিত। শুধু সিবিআই নয়, অন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে এই ঘটনার তদন্তভার দিতে হবে বলেই আর্জি জানানো হয়েছে। আগামীকাল, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এই মামলায় রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে সিসিটিভি ব্যবস্থা সহ একাধিক দাবিও জানানো হয়েছে।
সোমবার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, তাপস ভঞ্জ, কৌস্তভ বাগচী, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা পাওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণ তুলে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে। যদিও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তার পরও প্রশ্ন উঠছে যে এই ঘটনায় কি আদৌ প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার হয়েছে ? সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের হয়েছে, সেখানেও একই প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷
অন্যদিকে, পুলিশ দ্রুত তদন্ত শেষ করতে চাইছে৷ তথ্য আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে৷ এমন মারাত্মক অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার তরফেও একটি মামলা করা হয়েছে
Discussion about this post