রবিবার চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দিতে সোদপুরের বাড়ি থেকে বিকেলে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা ৷ নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা-মা ছাড়াও চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে যোগ দেন কাকা-কাকিমা । এদিন উদ্যোক্তাদের কয়েকজন সোদপুরের বাড়িতে আসেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেদের নিয়ে যেতে। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বলেন, “ডাক্তারদের মিছিলে যোগ দিতে যাচ্ছি। ওঁরা এসেছেন নিয়ে যেতে। যেখানে নিয়ে যাবে, সেখানেই আমরা যাব। আশায় আছি, বিচার পাব। সেই আশাতেই দিন গুনছি ।” রবিবার বিকেলে এনআরএস হাসপাতাল থেকে কালো বেলুন হাতে প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছেন চিকিৎসকরা। সেই মিছিলে অংশ নেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। ডাক্তারদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তাঁরা।
তাঁদের মেয়ের জন্য পথে নেমেছেন এত এত মানুষ। বিচার আর কতটা দূরে? আরজি কর হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের সামনে গত ২৭ দিন ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষরা এসে আন্দোলন অবস্থানের মঞ্চে বসেন। অন্যদিকে, বিচার পাবে অভয়া, তবেই হবে মহালয়া’ এমনই দাবি উঠছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থান থেকে। সেইসঙ্গে বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝও। জুনিয়র ডাক্তাররা যে পিছু হটছেন না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ম্যারাথন অবস্থানের জন্য তৈরি জুনিয়র ডাক্তাররা। অনেক সিনিয়র ডাক্তারও এসেছেন। মঙ্গলবার রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে এসে আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা জানান, জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন বলেই আজ তাঁরা জোর পাচ্ছেন। এখন যে কথাগুলো বলছেন, সেটা বলার সাহস পাচ্ছেন তাঁদের জন্য।
রাজ্য সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, বার্তা দেন আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পেরিয়ে গেলেও, কাজে যোগ দিলেন না কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তাররা। পুলিশ কমিশনার, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদত্যাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদত্যাগের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে আন্দোলনে অনড় তাঁরা।
Discussion about this post