বাংলাদেশে এখন অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় হিন্দুরা পালিয়ে আসতে চাইছেন। এই আবহে পাঁচ দশকের বেশি সময় পর বাংলাদেশে ফিরছে পাকিস্তানের সেনা। অর্থাৎ পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফস সাহির শামশাদ মির্জা বাংলাদেশে সেনা অ্যাকাডেমিগুলিতে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। এভাবেই বাংলাদেশি সেনাকে ট্রেনিং দিতে চায় পাকিস্তান। মহম্মদ ইউনুসের সরকার এই পথে হাঁটলে পাকিস্তানের প্রভাব প্রতিপত্তি পদ্মাপারে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর জঙ্গি কার্যকলাপও বাড়তে পারে। পাকিস্তান বরাবরই ভারতকে টার্গেট করে এগোয়। নানা সময়ে আক্রমণ করেছে। যদিও পেরে ওঠেনি। এবার বাংলাদেশকে ঢাল করে পাকিস্তান জঙ্গি নাশকতার ছক কষতে পারে বলে অনেকের ধারণা। এক সর্বভারতীয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী, এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। পাকিস্তানের সেনা অফিসার এবং জেনারেলরা কদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ সফরে আসতে চলেছেন। যদিও কবে ওই পাক অফিসাররা আসছেন সেটা এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ যদি এক পথে হাঁটে তাহলে সীমান্তে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার জন্য বাংলা, অসম এবং ত্রিপুরাকে সতর্ক থাকতে হবে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনাকে দেশছাড়া করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। আর তাতে সবচেয়ে বড় সাহায্য করেছিল ভারত। যার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক রক্তঋণের। যার জন্যই বাংলাদেশে যখন রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হল তখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রমশই পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। পাকিস্তান থেকে এখন জাহাজ ঢুকছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ভারতের বন্দর দিয়ে যে বাংলাদেশি পোশাক নানা দেশে যেত সেটা বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশি রোগীরা ভারতে আসা কমেছে। বেশিরভাগ রোগী চলে যাচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্যাঙ্ককে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। কড়া বার্তা উড়ে আসছে ওপার বাংলা থেকে। পাল্টা জবাব যাচ্ছে এপার থেকে। যদি কোনও কারণে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যায় তাহলে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে পাকিস্তান। আর পিছন থেকে মদত দেবে চিন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া করতে চলেছে বাংলাদেশ। ২০২৫ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসের ৭–১১ তারিখ করাচিতে ওই নৌ মহড়া হবে। এই নিয়ে সামরিক বিশেষজ্ঞ অশোক কুমার বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তারে ঘনিষ্ঠতা বেড়েই চলেছে। এটা ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এতদিন গোপনে বাংলাদেশের কাজ করেছে। এবার তারা প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমেছে।’
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার পতন যে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ কোনও বিষয় না, এটা এখন দিনের আলোর মতোই পরিস্কার। এই পুরো...
Read more
Discussion about this post