চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত বাম থেকে ডান সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন মমতা।
রাজনীতিগত ভাবে দূরত্ব ছিল কয়েকশো মাইল। নেত্রীর হাত ধরেই রাজ্যে 34 বছরের বাম জমানার অবসান। আর যার রাজত্বের অবসান হয়েছিল তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। 2011 সালে রাজ্যে বাম দুর্গের অবসানের পর ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা মন ও শরীরকে আরও বেশি দুর্বল করে তুলেছিল। হয়েছিলেন ঘরবন্দী। চোখের সমস্যায় দিনের আলো গ্রহণের ক্ষমতা কমেছিল। বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউ এর এক চিলতে ফ্ল্যাটে শুয়ে থাকতেন। রাজনীতিতে নবাগতরা দেখা করতে আসতেন। প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করতেন। তাঁদের কথা শুনতেন। আজ সে সব অতীত। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ২০ মিনিট নাগাদ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে ছুটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানান, ‘ গান স্যালুট এ প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কে শ্রদ্ধা জানানো হবে। ওঁর মৃত্যু রাজ্যের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল। ওঁর মৃত্যুর বয়স তো হয়নি। ওর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ‘ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে আজ রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন মমতা। বুদ্ধদেবের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর দলীয় নেতা কর্মীরা। মহম্মদ সেলিম, বিমান বসুরা। শোকস্তব্ধ শুভেন্দু।
আজ, বৃহস্পতিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের দেহ সংরক্ষণ করা হবে। আগামীকাল সকাল ১০ টায় আলিমুদ্দিন এ দেহ শায়িত থাকবে। বিকেল চারটে র সময় শেষ যাত্রার আয়োজন করা হবে। তারপরে দেহ দান করা হবে। 2000 থেকে 2011 সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
Discussion about this post