উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া-সল্ট অঞ্চলে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ২২ জন। সোমবার সকালে কুপির কাছে মার্চুলা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে যায়। বাসটিতে প্রায় ৪৬ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সে রাজ্যের উদ্ধারকারী দলকে উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন উত্তরাখণ্ডের পুলিশ এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। গোটা ঘটনা সরজমিনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাসটিতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল। যাত্রীদের তালিকায় বহু শিশু ছিল বলেও খবর। বাসটি গারওয়াল থেকে কুমায়ুনের দিকে যাচ্ছিল। পথে আলমোড়া জেলার মারচুলা নামে একটি জায়গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি। জেলাশাসক অলোক কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিল। ২০০ মিটার গভীর একটি খাদে পড়ে যায় বাসটি।’ ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের অধিকাংশ তুবড়ে গিয়েছে। স্থানীয় মানুষ বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। অনেকে নদী পেরিয়ে বাসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সারদ ব্যান্ডের কাছে বাসটি নদীতে পড়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ২২ জনের বেশি হতে পারে। যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পাহাড়ি এলাকা। একটি ভিডিও ভাইরালও হচ্ছে। দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ৷ এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আলমোড়া জেলার মার্চুলায় দুর্ভাগ্যজনক বাস দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে অত্যন্ত দুঃখজনক খবর পাওয়া গিয়েছে। জেলা প্রশাসনকে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও এসডিআরএফ-এর দল আহতদের উদ্ধার ও চিকিৎসার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ।”
সাতসকালেই ঘটে গেল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। হায়দরাবাদে বেলাইন হয়ে গেল পণ্যবাহী ট্রেনের একাধিক কামরা। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দারাবাদের পেদ্দাপালি এবং রামাগুন্ডমের...
Read more
Discussion about this post