বাংলাদেশে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন প্রায় ৮০ হাজার রোহিঙ্গা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। মিশরে ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস। জানা গিয়েছে, ডি-৮ সামিটে যোগ দিতে বুধবার কায়রোতে যান ইউনুস। মায়ানমার তথা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী জামব্রি আবদুল কাদিরের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে ইউনুস জানান, গত কয়েক মাসে ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবিও জানান। রোহিঙ্গা ইস্যুতে পদক্ষেপ করার পাশাপাশি দুদেশের সম্পর্ক মজবুত করার আহ্বান জানান আবদুল কাদির। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা উপদ্রব বন্ধ করতে চীনের সমর্থন চেয়েছিল বাংলাদেশ। সম্প্রতি অজিত ডোভালের চীন সফর এবং দীর্ঘ বৈঠকের পর বাংলাদেশের মাথার উপর থেকে চীনের হাত উঠছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এমনকি বৈঠক শেষ হয়ে চীনের দীর্ঘ বক্তব্যে নেই বাংলাদেশের নাম। এই দিকে কিছুদিন আগেই বাংলাদেশকে অস্ত্র পাঠিয়েছিল চীন। বাংলাদেশ তার বায়ু সেনার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকরণে চিনের সঙ্গে হাত মেলার প্রস্তুতি নিয়েছিল। বাংলাদেশ বায়ু সেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বিমান বহরের মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বায়ু সেনা প্রধানের মতে, ‘আমরা ফাইটার জেট এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’ এমনটা হলে পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ হবে দ্বিতীয় প্রতিবেশী যারা চিন থেকে যুদ্ধবিমান কিনবে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সম্ভাব্যভাবে তার বিমান বহরের শক্তি বাড়াতে চিনের চেংডু J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট কিনতে পারে। সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বায়ু সেনার জন্য প্রথম পর্যায়ে ১৬টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে। J-10C হল চিনে নির্মিত একটি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, যা আকাশ-থেকে-এয়ার এবং এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিশনের জন্য পরিচিত। চিনা J-10C-তে উন্নত এভিওনিক্স এবং AESA রাডার সিস্টেমের পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করার ক্ষমতা রয়েছে, যা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।বাংলাদেশ বিমান শক্তিতে পরিণত হতে চায়। J-10C অধিগ্রহণ বাংলাদেশের বায়ু সেনার সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে যার বয়সী বিমান রয়েছে এবং এর যুদ্ধ প্রস্তুতিও বৃদ্ধি পাবে। এটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। ফাইটার জেটের পাশাপাশি, বাংলাদেশ অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার দিকেও জোর দিচ্ছে, যেগুলো ঘনিষ্ঠ বিমান সহায়তা এবং অস্ত্র-বিরোধী অভিযানের মতো মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গিহানা হয়। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক।...
Read more
Discussion about this post