আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় পলিগ্রাফ টেস্টে তার অপরাধ কবুল করেছে বলেই সূত্রের খবর। ঘটনার রাতে সে ঠিক কী কী করেছিল, কোথায় কোথায় গেছিল, সেই তথ্য এই পরীক্ষায় উঠে এসেছে। ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ৩১ বছরের জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার পরও নির্বিকার ছিল সে। লেশমাত্র আতঙ্ক দেখা যায়নি তার মধ্যে। বরং খুব স্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয়কে। সাইকোমেট্রিক টেস্টে ধরা পড়েছে যে সঞ্জয়ের ‘পশুর মতো প্রবৃত্তি’ রয়েছে। সে ‘সেক্সুয়ালি পারভারটেড’। পর্নে আসক্ত। সেই রাতে কি কি করেছিল সঞ্জয় টেস্টে তা আরো বিস্তারিত উঠে আসে। জানা গিয়েছে, ৮ অগাস্ট এক বন্ধুর সঙ্গে সঞ্জয় আরজি কর হাসপাতালে যায়। বন্ধুর ভাই ভর্তি ছিল। তাকে দেখতে। রাত ১১টা ১৫ মিনিটে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়েই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় সঞ্জয়। এরপর মদ কেনে। রাস্তাতেই খায়। এরপর তারা ঠিক করে, সোনাগাছি যাবে। সোনাগাছিতে গিয়ে বচসা হয়, সেখানে যৌনতা না পেয়ে, সঞ্জয় ও তার বন্ধু চলে যায় চেতলায় পতিতাপল্লিতে। চেতলা যাওয়ার পথে রাস্তাতেই এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করে সঞ্জয়। চেতলায় সঞ্জয়ের বন্ধু যৌন মিলন করলেও সঞ্জয় করেনি। এরপর সঞ্জয় তার বান্ধবীকে ফোন করে নগ্ন ছবি চাই। বান্ধবী সেই কথা মত ছবিও পাঠায়। এরপর আবার সঞ্জয় ও তার বন্ধু ফিরে যায় আরজি করে। সঞ্জয় কে সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যায় আরজি করের ট্রমা কেয়ারের করিডোর দিয়ে হাঁটতে। এরপর ৪:০৩ মিনিটে সঞ্জয় চলে যায় সেমিনার হলে যেখানে ওই নির্যাতিতা তরুণী ঘুমোচ্ছিলেন। তারপরই তার ওপরে নির্যাতন চলায় সঞ্জয়। তারপর সেখান থেকে চলে যায় কলকাতা পুলিশ অফিসার অনুপম দত্তের বাড়িতে।
প্রসঙ্গত, মহিলা চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্তে নৃশংস নির্যাতনের ছবি উঠে এসেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, নির্যাতিতার দেহে ১৬টি বাহ্যিক ও ৯ অভ্যন্তরীণ ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। ক্ষত পাওয়া গিয়েছে ঠোঁট ও যোনিতে। মনোবিদরা সঞ্জয়কে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তাঁর মধ্যে পাশবিক প্রবণতা রয়েছে।
বাংলাদেশকে চাপ দিতে শুরু করেছে ভারত। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ভারতের। ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের মত...
Read more
Discussion about this post