সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলায় দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘থানা, স্কুল, হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাঁরা ডিউটি করেন কি না, রাজ্যকে তা আদালতের কাছে জানাতে হবে।’ ফলে আগামী দিনে রাজ্যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া অন্য কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। মামলার শুনানিতে রাজ্যের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘‘কে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করেন? কোন আইন বলে তাঁদের নিয়োগ করা হয়?’’ পরবর্তী শুনানিতে এমনই ছ’দফা প্রশ্নের উত্তর হলফনামা আকারে জানাতে হবে রাজ্যকে। সেই সঙ্গে স্কুল এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যে কত সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ার আছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কেই বা কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়, জানতে চান তিনি। তিনি বলেন, “পরবর্তী শুনানীতে এ নিয়ে তথ্য চাই, ১) সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আইনি অধিকার কার, ২) সিভিক ভলান্টিয়ারের যোগ্যতা, ৩) কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়, ৪) দৈনিক নাকি মাসিক টাকা পান তাঁরা, এর বাজেটই বা কোথা থেকে আসে।” এদিন আদালতে সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবীর প্রশ্ন, “যে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের বিরোধিতা আমরা করেছিলাম, তাদের নিয়োগ কার্যত দ্বিগুণ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ আগেই কলকাতা হাই কোর্ট এই নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।” এদিকে পালটা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, দেশের সব হাসপাতালে একই নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়। দিল্লিতে যে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয় কলকাতাতেও একই জিনিস হয়। এর আগের শুনানিতে আদালতে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন কেন সেই বিষয়ে সওয়াল করেন।
বিপাকে পড়েছে মুকেশ আম্বানির জিও! কমে গিয়েছে জিও ব্যবসা। অনেকেই নাকি জিও সিম ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আর এরমধ্যেই বিপাকে পড়তে...
Read more
Discussion about this post