ইতিমধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। নির্ধারিত সময় আজ শনিবার নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস ছিল, কিন্তু তার আগে পরিণত হওয়ার ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠে বেশিক্ষণ থাকবে নিম্নচাপ। এর ফলে কিছুটা শক্তিও বাড়াবে নিম্নচাপ বলয়টি। এর জেরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিবিড় এবং নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ দুপুরের দিকে এটি বাংলার ওপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোবে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া পুরুলিয়া জেলার দু এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। বেশি বৃষ্টি পাবে কালিম্পং আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি জেলা। তবে আজ পার্বত্য জেলাগুলির কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে।
দক্ষিণবঙ্গে গোটা সপ্তাহ জুড়ে এখনও ৪৪ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। নতুন নিম্নচাপের প্রভাবেও এই ঘাটতি মেটার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। চলতি মাসও বৃষ্টির ঘাটতি নিয়েই কাটাতে হবে দক্ষিণবঙ্গ বাসীকে।
বৃষ্টি ভিজবে আজ কলকাতা। গোটা কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা জুড়েই আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঝারি বৃষ্টি। দিনের বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্র বিদ্যুৎ সহ দু এক পশলা বৃষ্টি চলবে।
দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্থিতিশীলই থাকবে আজ। সামান্য পারদ পতনও হতে পারে। বৃষ্টির আগে পড়ে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকবে শহরতলি জুড়ে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
গত কাল রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি। গত কাল দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রির ঘরে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বনিম্ন পরিমান ৭৩ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৮২ শতাংশ। বেলা বাড়লে তা ১০০ শতাংশেও পৌঁছাতে পারে।
Discussion about this post