ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকার ও দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এবার একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরে সংসদের দুই কক্ষেই বিবৃতি দিতে পারেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।টানা দীর্ঘদিন ধরে অশান্ত বাংলাদেশ। এর আগে আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরে মহম্মদ ইউনুসকে মাথায় রেখে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি হয়েছে। তারপর থেকেই ক্রমাগত সেদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ আসছে। সেই আবহেই এর আগেও একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত। এর আগে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার এবং জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার ও তাকে জামিন না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর উগ্রবাদীদের একাধিক হামলার পর তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ একই সঙ্গে মন্দিরে চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের এমন বিবৃতির পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করছি যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি। শেখ হাসিনাকে উৎখাতের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায়। তারপর থেকেই বারবার বাংলাদেশের নানা কোণা থেকে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। তা নিয়ে বাংলাদেশে বারবার প্রতিবাদও হয়েছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের একটি সংহতি মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলনে নামের বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। তারপরেই ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে। অভিযোগ ছিল, মিছিলের সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেছেন তিনি। হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারির পরেই ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে বাংলাদেশে
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছিলেন। যদিও কয়েকঘন্টার সেই শাসনকাল এখন রাজনৈতিক আলোচনার...
Read more
Discussion about this post