আবারও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুরুটা হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে। তারপর গত একশো দিনে লাগাতার বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। একটি বাংলাদেশি সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে রিপোর্ট সামনে রেখেছে, সেটা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। রঙপুরে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন হিন্দুরা, তারই মাঝে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। একাধিক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত সমাবেশ হয় সফলভাবেই। বাংলাদেশি হিন্দুদের সেই সমাবেশের জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। অভিযোগ, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যখন সমাবেশের দিকে এগোচ্ছিলেন, সেই সময় ১০ কিলোমিটার আগেই তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয়। বাস থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। এই আবহে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবার বাংলার রাজনৈতিক নেতারাও। এবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে, তিনি মন্তব্য করেছেন সন্ত্রাসবাদীরা বাংলাদেশ চালাচ্ছে। এই আবহে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবার বাংলার রাজনৈতিক নেতারাও। এবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে, তিনি মন্তব্য করেছেন সন্ত্রাসবাদীরা বাংলাদেশ চালাচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। দিলীপ বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। সারা বিশ্ব সেটা দেখছে। তবে আমরাও হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।’ দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও সরকার নেই আতঙ্কবাদীরা এখন দেশ চালাচ্ছে। এইরকম চলতে পারে না। বাংলাদেশেরও অবস্থা আফগানিস্তানের মতো হবে।’ এছাড়াও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, “বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক প্রশাসক তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদার সমান। তিনি একজন জাতীয় মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন। তিনি সরাসরি ভারতকে আক্রমণ করছেন। এই প্রশাসককে বলতে চাই, নুন আপনার আছে, আয়োডিনটা ভারতের। আমি এখান থেকে দাবি করছি, ভিসা একশো শতাংশ বন্ধ করুন। আমরা প্রয়োজন হলে একদিন অপেক্ষা করে ভিসা দফতরেও যাব। সম্পূর্ণভাবে ভিসা দেওয়া বন্ধ করুন। আমদানি-রফতানি পরামিট ইস্যু করা বন্ধ করুন। বাকিটা আমরা বর্ডারে করব সোমবার থেকে। বলে দিলাম। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তি, হিন্দুদের ওপর আক্রমণ-মন্দির ভাঙা বন্ধ করুন। আর এই ধরনের নাবালকদের যাঁদের ওখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বসিয়েছেন, এই নাবালক যাঁরা মন্ত্রীর পদমর্যাদার তাঁদের এ ধরনের ভারত-বিরোধী কথা বলা বন্ধ করুন। আর চিকিৎসা নেওয়ার জন্য করাচি-লাহোরে যান। এখানে আসবেন না। পরিষ্কার বলে দিতে চাই আমরা।”
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছিলেন। যদিও কয়েকঘন্টার সেই শাসনকাল এখন রাজনৈতিক আলোচনার...
Read more
Discussion about this post