বৃহস্পতিবার বিধানসভার কক্ষে প্রশ্ন উত্তরের পর নিজের ঘরে বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একে একে বিধায়করা এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে দেখা করেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। যিনি বাংলার রাজনীতিতে বিদ্রোহী নেতা বলে অভিহিতি। সম্প্রতিকালে তিনি যেভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন, বিশেষ করে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে তাঁকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করতেই হুমায়ূন কবীর জানান, কেমন আছেন দিদি? এই প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বলা হয়, শোকজের জবাব দাও আগে।
কিছুটা ঘাবড়ে যান ভরতপুরের বিধায়ক। খানিকটা ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তাঁর, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, কসবা কাণ্ডের পর পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিধায়ক। এমনকি সেখানেই থেমে থাকেননি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপমুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানান। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল বিধায়ক। এছাড়াও বাংলার রাজনীতিতে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাল চান না অনেকেই। প্রভাবশালীরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বলেন, তিনি দলের ক্ষতি হোক এটা চান না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূলের তরফে একটি কর্মসমিতির বৈঠক করা হয়। সেখানে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যদি দলের কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তবে তাকে শোকজ করা হবে। কাউকে আর তিনবার শোকোজ করা হবে না। নিজেকে না শুধরে নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাসপেন্ড করা হবে তাকে। বুধবার বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে বিধায়ককে শোকোজ করা হয়।
তবে এই শোকোজের পরও নিজস্ব মেজাজে রয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। তিনি বলেন, উচিৎ কথা, সঠিক কথা বলতে গেলে যদি দল শোকোজ করে, তাহলে করবে। কিন্তু তার নিজের বক্তব্যে তিনি অনড়।
Discussion about this post