বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে কলকাতায় গর্জে উঠল সনাতনী সমাজ। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ এবং চিন্ময়ের নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে কলকাতায় বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের মিছিল ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটল। বেকবাগানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের। পুলিশের ব্যারিকেড মিছিল আটকালেই উত্তেজনা ছড়ায়। এক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে দাবি। অন্য দিকে, তাঁদের ২ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। তিন মাস আগে দেশের সরকার বদলালেও, অচলাবস্থা কাটেনি। এরই মধ্যে, ইসকনের সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হল বাংলাদেশ। প্রতিবাদ চলছে দেশের নানা প্রান্তে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগ আসছিল। এরই মধ্যেই সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে তাঁকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার দায়ের করা হয়েছে। এদিন শিয়ালদহে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে প্রতিবাদী মিছিল হয়। শিয়ালদহ থেকে বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের অফিস পর্যন্ত মিছিলে অংশ নিলেন বহু সাধারণ মানুষ। হাতে ধরা পোস্টারে গর্জন ‘এক চিন্ময় কারাগারে, লক্ষ চিন্ময় ঘরে ঘরে’। কোনও পোস্টারে লেখা ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, চিন্ময় প্রভুর মুক্তি চাই’। এই ইস্যুতে আবার কেউ কেউ বাংলাদেশি বস্ত্র বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে হাই কমিশনের অফিসের সামনে পুলিশের বাধায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিন প্রতিবাদে নেমেছে কলকাতার ইসকন কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার বিকেলে আলবার্ট রোডে কীর্তনের মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে চলেছেন ভক্তরা। ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এদিন বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগ। ইসকন ভক্তরা আতঙ্কিত। তাঁদের বেছে বেছে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সেনা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় অপরাধীরা যেখানে ধরা ছোয়ার বাইরে সেখানে একজন ধর্মীয় নেতা এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন কথা বলেছে তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিবৃবিতে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহবান জানানো হয়। অন্যদিকে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশের পাল্টা বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, অতিশয় হতাশা ও গভীরভাবে অনুভূতিতে আঘাতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর থেকে কিছু মহল তা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন অপ্রমাণিত বিবৃতি শুধু সত্যের বিরোধিতাই নয়, একই সঙ্গে তা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছিলেন। যদিও কয়েকঘন্টার সেই শাসনকাল এখন রাজনৈতিক আলোচনার...
Read more
Discussion about this post