বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে জেলে যাওয়া ইসকনের সন্ন্যাসী তথা ‘সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট’ এর মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে ফুঁসছে বাংলাদেশের হিন্দুরা। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাঁর গ্রেপ্তারি, জামিন খারিজ এবং বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ঢাকা বিষয়টি ভালোভাবে না নেওয়ায় দিল্লির সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোরও। এবং এই আবহেই বুধবার বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে পিটিশন দায়ের হলো ঢাকার হাইকোর্টে। যদিও বাংলাদেশের ইসকনকে নিষিদ্ধ নয় বলে নির্দেশ কোর্টের। এদিকে বাংলাদেশে ধৃত ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও প্রতিবাদ মিছিল। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যানারে এদিন পথে নামে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ব্যানার প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল থেকে বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান প্রতিবাদীদের। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে হিলকার্ট রোড ধরে মহকুমাশাসকের দফতর পর্যন্ত যায় মিছিল। হাসমি চকে বেশকিছুক্ষণ অবস্থানও করেন প্রতিবাদীরা। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শঙ্খ বাজানো হয় মিছিল থেকে। “চিন্ময় প্রভুর কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে” স্লোগানও দেন মিছিলে সামিল প্রতিবাদীরা। জয় শ্রী রাম ধ্বনিও দিতে শোনা যায় তাঁদের। এছাড়াও শিয়ালদা থেকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের দফতর পর্যন্ত মিছিল। বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের মিছিল ঘিরে তুলকালাম। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরব সনাতনী সমাজ। সনাতনী সমাজের মিছিলেও উঠল ‘বিচার চাই’ স্লোগান। বাংলাদেশে গ্রেফতার চিন্ময়কৃষ্ণ দাস, কলকাতায় গর্জে উঠল সনাতনী সমাজ। সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের মিছিল ঘিরে তুলকালাম। বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের মিছিল ঘিরে তুলকালাম । সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরব সনাতনী সমাজ। সনাতনী সমাজের মিছিলেও উঠল ‘বিচার চাই’ স্লোগান। এর সঙ্গেই জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি তুলে নেওয়ার পক্ষে সম্প্রতিই কোর্টে জোর সওয়াল করতে শোনা গিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের এজি মহম্মদ আসাদুজ্জামানকে। হাইকোর্ট ইসকনের ‘পরিচয়’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল তাৎক্ষণিক ভাবে বলে দিলেন ‘ইসকন আদতে একটি ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হিন্দুদের এক সমাবেশে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুকে। এরপর থেকেই তাঁর মুক্তির দাবিতে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এরই মাঝে মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও পড়শি দেশের সরকার জানিয়েছে, কোনও সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, বরং রাষ্ট্রদোহের অভিযোগেই চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতও।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, যিনি শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিয়েছিলেন। যদিও কয়েকঘন্টার সেই শাসনকাল এখন রাজনৈতিক আলোচনার...
Read more
Discussion about this post