রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার তারা রাজভবন অভিযানের ডাক দেন। সিবিআই এর উপর অনাস্থা থেকেই তাঁদের এই রাজভবন অভিযান। এর পাশাপাশি যে চার্জশিট সিবিআই জমা দিয়েছে তার প্রতি অনাস্থা রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। সব মিলিয়ে তাঁদের রাজভবন অভিযানের একাধিক কারণ রয়েছে। গত শনিবার থেকেই আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা৷ তাঁদের দশ দফা দাবি নিয়ে পথে বসে রয়েছেন ডাক্তারেরা৷ প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের পাশে রয়েছেন সিনিয়ার চিকিৎসকেরা৷ রবিবারই জুনিয়ার চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের সব রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। কারণ সারা দেশজুড়ে এবার অনশনের ডাক দিয়েছিল আইএমএ। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, চার্জশিট নিয়ে সিবিআই-এর প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়েছে তাঁদের। সেই জন্যেই এহেন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার যেদিন রাজ্যে পুজোর কার্নিভাল রয়েছে সেই দিনই রাজ্যজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানান, কোনও বাধা আমরা দেব না ৷ রাস্তার ধারে সকলে মানব বন্ধন করে এক সারিতে দাঁড়িয়ে থাকবো। আরজি করের ঘটনায় সোমবার রাজভবন অভিযান করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন মিছিল করে রাজভবনে পৌঁছন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ১১ জন প্রতিনিধিকে রাজভবনে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। এমনকী দেখা যায় দূর গ্রাম থেকে হুইল চেয়ারে চেপেও এক বৃদ্ধা এসেছিলেন কলকাতায়। ওই বৃদ্ধা বলেন, আমরা বিচার চাই। আমরা আন্দোলনের পাশে রয়েছি। না খেয়ে আমি আন্দোলনে এসেছি। দিনের পর দিন ধরে আমি আন্দোলনে আসছি।বৈঠক শেষে রাজভবন থেকে বেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা জানালেন, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়েছে। কিন্তু তেমন ভাবে কথা হয়নি। তাঁরা শুধু স্মারকলিপি টুকুই হাতে দিতে পেরেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘আমরা ১২ জন প্রতিনিধি রাজভবনে এসেছিলাম। প্রথমে জানানো হয়, রাজ্যপাল বিশ্রাম নিচ্ছেন। পরে পাঁচ জন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে ডেপুটেশন দিয়েছি। খুব বেশি কথা হয়নি। কোনও আশ্বাস পাইনি। আন্দোলন বা অনশন তোলার কথা হয়নি। রাজভবনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে, রাজ্যপাল সাধ্য মতো চেষ্টা করবেন।’’
সম্প্রতি বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৮ জঙ্গিকে পাকরাও করেছে অসম ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের কাছ...
Read more
Discussion about this post