নারীর অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শামিল হয়েই চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার আরেক মহিলা। শ্যামবাজারে ঋতুপর্ণাকে লক্ষ্য করে স্লোগান, গাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব অভিনেত্রী সুদীপ্তা। “কীভাবে করতে পারলেন”, আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন তাঁর। বুধবার আরও একবার রাত দখলের কর্মসূচিতে নেমেছিল শহরবাসী। আর সেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়েই হেনস্থা হতে হল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। শ্যামবাজারের কর্মসূচিতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। গাড়ি থেকে নামতেই শোনা যায় ‘গো ব্যাক… গো ব্যাক’। তারপরও তিনি প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দ্রুত অভিনেত্রীকে গাড়িতে তোলেন তাঁর দেহরক্ষীরা। চার পাশ থেকে উলুধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করা হয় অভিনেত্রীকে। এই ঘটনায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায় লিখলেন, ”ঋতুপর্ণাকে বিনা কারণে এই অপমান করা আমি সমর্থন করি না। করব না। এই নাকি নারী সম্মান। নারী সুরক্ষার লড়াই?” দেবলীনা দত্ত লিখলেন, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবাই শারীরিক আক্রমণ করলেন ঋতুদিকে। দেবলীনা সঙ্গে আরও লিখলেন, ”যাঁরা ঋতুপর্ণাকে বাঁচাতে গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজনের সিটি স্ক্যান হবে। আর আরেকজন গুরুতর আহত! আমি প্রত্যক্ষদর্শী।” সোশাল মিডিয়ায় সুদীপ্তা লেখেন, “আপনারা তাঁর অবস্থান দেখলেন না। শুধুমাত্র ভুয়ো ভিডিয়োটি দেখে ঘৃণা উগরে দিলেন। আপনারা তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিলেন। তিনি সেটাও মেনে নিলেন। এলাকা ছাড়লেন। এর পরেও যখন গাড়িতে বসে রয়েছেন, তখন হামলা চালালেন। কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! আমি এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছি।’’ অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘‘আপনারা কী ভুলে গিয়েছেন যে আপনারা নারীদের রাত দখলের লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলেন? মহিলাদের সম্মান, অধিকার রক্ষার দাবিতে যে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন সেটাও কি ভুলে গিয়েছিলেন? কীভাবে এটা করতে পারলেন? ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করছি।”উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় শঙ্খ বাজিয়ে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। সেই নিয়ে কম ট্রোলডও হননি। জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী অভিনেত্রী কটাক্ষের মুখোমুখি হওয়ার পরে ভিডিয়োটি সরিয়ে ফেলেন।
বাংলাদেশকে চাপ দিতে শুরু করেছে ভারত। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ভারতের। ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের মত...
Read more
Discussion about this post