আর জি কর মেডিক্যালে ডাক্তার ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হল। সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই এদিন আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়কে বের করা হয়। এরপর তাকে শিয়ালদার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে তাকে হাজির করানো হয় আদালতে। পুলিশের গাড়়ি আদালত চত্বরে নিয়ে আসার পরেই সাধারণ মানুষ চিৎকার করতে থাকেন, ফাঁসি চাই সঞ্জয়ের। এদিন ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত হল এই মামলায় একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়ের।যে ক’দিন এই সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেফাজতে রেখেছে সিবিআই, সেই ক’দিনে তাঁর কাছ থেকে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে ৷
তাই এ দিন শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন করা হবে বলে সিবিআইয়ের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তবে শুধু ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই নয়, আরও পাঁচজনের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় সিবিআই। আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং ঘটনার দিন রাতে যে চারজন চিকিৎসক পড়ুয়া ছিলেন, তাঁদেরও পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর জন্য় আদালতে আবেদন করেছে সিবিআই। অন্যদিকে, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছিল সঞ্জয়ের হয়ে সওয়াল করার জন্য কোনও আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করার জন্য আইনজীবী মিলেছে। ৫২ বছর বয়সি কবিতা সরকার তার হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন বলে খবর। আইনজীবী কবিতা সরকার জানিয়েছেন, ‘আমিও বাকিদের মতো নির্যাতিতার বিচার চাই। তবে আমার মনে হয় যখন বিচার হয়, তখন আদালতে আইনি লড়াই সম্পন্ন হয়। তার আগে না। এই দেশে সবারই আইনি অধিকার আছে। সবারই নিজের রক্ষা করার অধিকার আছে। অভিযুক্তরও সেটা আছে। আর এখানে আমাকে আমার কাজ করতে হবে।’
Discussion about this post